গুরগাঁওতে নোবেল লাভাসার আবাসন হস্তান্তরের বিষয়ে ফের তদন্তের জন্য হরিয়ানা সরকারকে আবেদন জানাল আয়কর দফতর। অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার স্ত্রী স্ট্যাপ ডিউটি ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই গুরগাঁওয়ের আবাসনটি তাঁর ননদ শকুন্তলা লাভাসাকে দান করেছিল। প্রমাণ হিসাবে, নোবেল লাভাসার ২০১৭-১৮ বর্ষের আয়কর রির্টানের সঙ্গে নথিভুক্ত হস্তান্তর দলিলের তথ্যগত পার্থক্যকে তুলে ধরেছে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ও ফিনান্সিয়াল কমিশনারের কাছে তা জমা করা হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর আয়কর দফতরের তরফে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিয়ানার ফিনান্সিয়াল কমিশনার ধনপত সিং। ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, 'আয়কর দফতরের আবেদনটি ৯ ডিসেম্বর গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনারকে জানানো হয়েছে। আয়কর দফতরের দ্রুততার কথাও বলা হয়েছে। তবে, এখনও কোনও জবাব মেলেনি।'
ইমেলে করা প্রশ্নের ভিত্তিতে স্যাম্প ডিউটি ফাঁকির কথা অস্বীকার করেছেন লাভাসা পরিবার। অশোকের বোন শকুন্তলা জানানে, 'আইন মেনে ওই আবাসন হস্তান্তরের জন্য ১০, ৪২, ২২০ টাকা স্যাম্প ডিউটি দিয়েছি।' অশোক লাভাসা জানিয়েছেন, 'কর্তব্যপরায়ণ নাগরিক হিসাবে নির্দিষ্ট আইন মেনেই সব কাজ করা হয়েছে। এবার অভিযোগ প্রমাণ করুক আয়কর দফতর।' যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই নোবেল লাভাস ইমেলে জানিয়েছেন, 'উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত স্যাম্প ডিউটি জমা করা হয়েছে।' তাঁর অভিযোগ, 'আয়কর দফতরের ফের তদন্তের দাবির মাধ্যমেই স্পষ্ট যে, আমি ও আমার পরিবারের সম্মানহানির চেষ্টা চলছে।'
আরও পড়ুন: বিপাকে নির্বাচন কমিশনার লাভাসা, ‘পদের অপব্যবহার’ তদন্তে চিঠি ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে
আইটি বিভাগের রিপোর্ট অনুশারে, নোবেল লাভাসার রিটার্নে দেখা যাচ্ছে যে, গুরুগ্রামের চারতলা আবাসনের দ্বোতলাটি ১.৭৩ কোটি টাকায় শকুন্তলা লাবাভাসাকে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু, ২০১৭-১৮ সালে শকুন্তলার আয়কর রিটার্নে বলা হয়েছে, ওই সস্পত্তি তাঁরই ছিল।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার স্ত্রী তথা প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী এন লাভাসাকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এরপর নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ছেলে ও বোনকেও নোটিস পাঠানো হয়। এছাড়া নোটিস পাঠানো হয় নৌরিশ অর্গ্যানিক ফুড লিমিটেড নামে এক সংস্থাকে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওই সংস্থার ডিরেক্টর অশোক লাভাসার ছেলে আবির লাভাসা। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার শেয়ার আবিরের দখলে থাকলেও সেগুলি আসলে কর্মীদের।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নির্বাচন কমিশনের ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।
Read the full story ion English