নোটবন্দির পর পর নগদে ৪.৯৩ লাখ জমা, গরুগাঁও-এ নির্মাণের জন্য নির্মাণকারী সংস্থাকে নগদে ৪৬.৬৫ লাখ নগদ দেওয়া ও পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্মানকারী সংস্থাকে ৯.৫৭ লাখ টাকা দিয়েছিলেন অশোক লাভাসা। রাজস্ব ফাঁকি দিতে লাভাসা পরিবার এই ধরনের অর্থ আদানপ্রদান করেছিল বলে অভিযোগ করেছে আয়কর বিভাগ। সংস্থার রিপোর্টেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার পরিবারের বিরুদ্ধে। তারই তদন্তে গত ছয় মাসে একাধিকবার প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মী নভেল লাভাসা, শকুন্তলা লাভাসা, আবীর লাভাসাকে নোটিস ধরিয়েছে আয়কর বিভাগ।
আরও পড়ুন: লাভাসা পরিবারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ, ফের তদন্তের আর্জি আয়কর বিভাগের
গত বছর লোকসভা ভোটের সময় প্রচারে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা মোদী ও শাহকে ক্লিনচিট দিতে নারাজ ছিলেন। অন্তত পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে ক্লিনচিট দানের বিরোধীতা করেছিলেন লাভাসা। তারপরই এই নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।
আরও পড়ুন: বিপাকে নির্বাচন কমিশনার লাভাসা, ‘পদের অপব্যবহার’ তদন্তে চিঠি ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে
২০১৯ সালের নভেম্বরে আয়কর বিভাগের তরফে লাভাসা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট রাজস্ব দফতরকে দেওয়া হয়। যেখানে গুরগাঁওতে নোবেল লাভাসার আবাসন হস্তান্তরের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সেই খবর করেছিল। আয়কর বিভাগের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজস্ব দফতর কী কোনও পদক্ষেপ করেছিল? কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডের চেয়ারম্যান পি সি মোদী এই প্রস্নের কোনও জবাব দেননি। অশোক লাভাসা, তাঁর স্ত্রী নবেল লাভাসা ও পুত্র অবীরের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার স্ত্রী স্ট্যাপ ডিউটি ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই গুরগাঁওয়ের আবাসনটি তাঁর ননদ শকুন্তলা লাভাসাকে দান করেছিল। প্রমাণ হিসাবে, নোবেল লাভাসার ২০১৭-১৮ বর্ষের আয়কর রির্টানের সঙ্গে নথিভুক্ত হস্তান্তর দলিলের তথ্যগত পার্থক্যকে তুলে ধরেছে আয়কর দফতর। এছাড়াও কারনালের বাংলো নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
Read the full story in English