রথের রশিতে টান পড়ত তাম্র -ব্রোঞ্জ যুগেও! এ তথ্য উঠে এল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে। তাম্র যুগের একটি রথের ভগ্নাংশের হদিশ পেয়েছে ASI। রথে তামার মোটিফের কারুকাজও চোখে পড়েছে। রথের এহেন অংশাবশেষের অস্তিত্ব মেলায় গবেষণার জন্য যে নতুন পথ খুলে গেল, তা বলাই বাহুল্য।
হদিশ মিলেছে আটটি কবরস্থান, তিনটি কফিন, ভোজালি, চিরুনি ও বেশ কিছু গয়নার।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার সিনাউলি গ্রাম। সেখানেই মিলেছে এই রথের ভাঙাচোরা অংশ। তিন মাস ধরে এই এলাকায় খনন কাজ চালাচ্ছিল ASI। গত সোমবারই মাটির নিচ থেকে এই রথের অংশের হদিশ মিলেছে। শুধু রথই নয়,হদিশ মিলেছে আটটি কবরস্থান, তিনটি কফিন, ভোজালি, চিরুনি ও বেশ কিছু গয়নারও।
আরও পড়ুন, Ishrat Jahan Case: সাদা দাড়ি ও কালো দাড়িকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল সিবিআই: আদালতে বিস্ফোরণ ভানজারার আইনজীবীর
উদ্ধার হওয়া কফিনগুলোতে তামার নকশা রয়েছে।
তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগে রথের এই অস্তিত্ব মেলার ফলে মেসোপটেমিয়া, গ্রিসের প্রাচীন সভ্যতার মতো এক আসনে থাকবে ভারতীয় সভ্যতাও, টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন এস কে মঞ্জুল নামের এক ASI আধিকারিক। এই এলাকায় একসময় যোদ্ধারা থাকতেন বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রথম উপমহাদেশে এ ধরনের কফিন পাওয়া গেল। তিনি জানান যে, উদ্ধার হওয়া কফিনগুলোর চারপাশে ফুলের নকশা করা রয়েছে। এর আগে অবশ্য হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, ধোলাভিয়াতেও কফিন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই কফিনগুলোতে তামার নকশা ছিল না।