ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের কাছে খনন কাজ চলাকালীন উদ্ধার হল দশম শতাব্দীর প্রাচীন মন্দিরের কাঠামো। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার খননকার্যের সময় এই কাঠামো উদ্ধার হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ লিঙ্গরাজ মন্দিরের একামড়া ক্ষেত্রটিতে (মন্দির বেষ্টিত ভুবনেশ্বরের পুরনো এলাকা) সৌন্দর্যায়নের কাজ করছে। সেই সময়ই খননের কাজ করতে গিয়ে দশম শতাব্দীর মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। খননকালে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ বলছে, পুরো মন্দিরটি পঞ্চায়েতী মডেলে নির্মিত হয়েছিল, যেখানে মূল মন্দিরটি চারদিক থেকে সহায়ক বা ছোট ছোট মন্দির দ্বারা বেষ্টিত। এখনও পর্যন্ত তিনটি মন্দিরের হদিশ মিললেও আরও একটি রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এটাও অনুমান যে মন্দিরগুলো সোম রাজবংশের শাসনকালের তৈরি।
খননকাজের সময় কয়েকটি প্রচীন মন্দিরের দেওয়ালের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে। যার উপর খোদাই রয়েছে ভাস্কর্য। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ খনন কাজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার করায় উদ্ধার হওয়া মন্দির বা ভাস্কর্যগুলির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।
আর্কিওলজি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সুপারিনটেনডেন্ট অরুণ মল্লিক জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ওড়িশা সরকার একামড়া ক্ষেত্র সৌন্দর্যায়ন ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। সেহিতু খনন কাজ চলাকালীন আমরা প্রাচীন মন্দিরটি দেখতে পাই। প্রাচীরের কিছু অংশে পুরানো বংশের খোদাই করা মূর্তি পাওয়া গেছে। প্রচীন ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তৃব্যের মধ্যে পড়ে।
প্রচীন মন্দিরের হদিশ মেলায় হইচই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলকে চিঠি লিখে উদ্ধার হওয়া দশম শতাব্দীর প্রচীন মন্দির সংরক্ষণের কাজে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে ভুবনেশ্বরে পাঠানোরও আবেদন জানিয়েছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন