অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শনিবার জানিয়েছেন যে প্রতিবেশী মণিপুরের পরিস্থিতির ৭-১০ দিনের মধ্যে উন্নতি হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য 'নীরবে' কাজ করছে। তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিযোগ করেন যে বিরোধী দল সেই সময় তার উদ্বেগ দেখাচ্ছে, যখন দেশের 'উত্তর-পূর্বের রাজ্যে আপেক্ষিক শান্তি এসেছে।' গত ৩ মে মণিপুরে প্রথম সংঘর্ষ (জাতিদাঙ্গা) শুরু হয়। তার পর থেকে মণিপুরের মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসায় শতাধিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
ডিব্রুগড়ে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের (এনইডিএ) আহ্বায়ক বলেন, 'মণিপুরের পরিস্থিতির দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে। আমি মনে করি যে আগামী একসপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।' গত মাসের চেয়ে বর্তমানে প্রতিবেশী রাজ্যের পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন শর্মা।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'নিঃশব্দে মণিপুর সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কাজ করছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে একমাস আগে হিংসার মাত্রা ঠিক কীরকম ছিল। আর, আজ পরিস্থিতি কীরকম।' বিশ্বশর্মা বলেন, 'আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।' কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'উত্তর-পূর্বে বিজেপিই সমস্যা সমাধানকারী। এখন যখন আপেক্ষিক শান্তি এসেছে, তখন কংগ্রেস (সফররত রাহুল গান্ধী) মণিপুর নিয়ে কাঁদছে। পরিস্থিতি যখন অস্থিতিশীল ছিল, তখন বরং তাদের কাঁদা উচিত ছিল।'
আরও পড়ুন- মেট্রোয় মদ বহনের অনুমতি, হঠাৎ কেন নিয়ম বদল?
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি, যথেষ্ট পরিমাণে বাহিনী পার্বত্য রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি শান্ত করতে নিয়মিত মণিপুর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। নিয়মিত পার্বত্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বাহিনীর টহলদারি। কখনও সখনও দাঙ্গাবাজদের সঙ্গে বাহিনীর জওয়ানদের গুলি বিনিময়ের অভিযোগও উঠছে।