প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল অসমে । করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অসমের সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জের ৫২ বছরের এক ব্যক্তি। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, অসুস্থ অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে শিলচর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক টেস্টে তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ দেখা যাওয়ায় তাঁর রিপোর্ট পুনের এনআইভি সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় জানা যায় ওই ব্য়ক্তি করোনায় আক্রান্ত। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট করে এ খবর জানিয়েছেন।
শিলচর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালকে সম্প্রতি সম্পূর্ণভাবে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। হাসপাতালের অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া জানিয়েছেন, সন্দেহজনক অবস্থায় তাঁকে রবিবার শিলচর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। প্রথমে তাঁর নমুনা শিলচরের ভিআরডিএল সেন্টারে পরীক্ষা হয়। এরপর এটি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইয়োলজিতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁরা ই-মেল করে খবরটি জানান।
আরও পড়ুন: করোনায় আর্থিক সাহায্য মমতার, মোদীর তহবিলে দিলেন ৫ লক্ষ টাকা
শিলচর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্য়ক্তি দিল্লি গিয়েছিলেন। তবে তাঁর বিদেশ যাওয়ার কোনও তথ্য় এখনও মেলেনি। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৫ মার্চ রেলপথে দিল্লি যান তিনি। ওই ব্য়ক্তি ক্যান্সার আক্রান্ত। সম্ভবত তিনি নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। ১১ মার্চ রাজধানী এক্সপ্রেসে করে গুয়াহাটি ফেরেন তিনি। সেখানে হাতিগাও এলাকায় একদিন থেকে ১৩ মার্চ বদরপুর ফিরে আসেন। রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে খবর।
উল্লেখ্য়, সম্প্রতি শিলচর মেডিক্য়াল কলেজ সফর করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বরাক উপত্যকায় করোনাভাইরাস ছড়ালে আমরা তা রোখার মতো অবস্থায় নেই। তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।"
এদিকে, রাজ্য সরকার শিলচর মেডিক্য়াল কলেজ চত্বরে একটি ৩০০ শয্য়া সম্পন্ন সম্পূর্ণ কোভিড-১৯ হাসপাতাল বানানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি গড়ে তোলা হবে এবং এর জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে থাকবে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা এবং পরিকাঠামো। এর ফলে আশেপাশের রাজ্য যেমন মিজোরাম, মণিপুর বা ত্রিপুরার মানুষও সুবিধা পাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন