প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই একের পর এক বিস্পোরণে কেঁপে উঠল আসাম। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ডিব্রুড় ও চরাইদেওতে এই বিস্ফোরণগুলো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আসামের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, 'ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। তদন্তেই উঠে আসবে এর পিছনে কে বা কারা যুক্ত রযেছে।'
আরও পড়ুন: আসাম চুক্তি কী? ক্যাবের সঙ্গে এর সম্পর্ক কোথায়?
ডিব্রুগড়ে গুরুদ্বার ও জাতীয় সড়ক ৩৭-এর উপর গ্রাহাম বাজারের একটি দোকানে বিস্ফোরণ ঘটে এদিন সকালে। পুলিশে জানিয়েছে, ওই দুই জায়গা ছাড়াও দুলিয়াজানেও বিস্ফোরণ হয়। চতুর্থ বিস্ফোরণটি ঘটেছে চরাইদেও জেলার সোনারি থানার অন্তর্গত টিওক ঘাটের কাছে।
প্রতিবারই চরমপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের তরফে দেশের গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করা হয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এই বিষয়ের সঙ্গে বিস্ফোরণের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে চলছে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন। এছাড়াও ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকি। তার মধ্যেই এদিনের পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দোষীদের শাস্তির আস্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
Read the full story in English