আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে আট লক্ষেরও বেশি মানুষ, নামানো হল সেনা

বন্যার জন্য লামডিং-বদরপুর রেলপথে ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণব জ্যোতি শর্মা।

বন্যার জন্য লামডিং-বদরপুর রেলপথে ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণব জ্যোতি শর্মা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Assam Flood

ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতি আসামে

বন্যাপরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আসামে সেনা নামানো হল। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ২১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৮.৭ লক্ষ মানুষ। অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত তিন।

Advertisment

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিল দফতর ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সাহায্য করার জন্য বকসা জেলায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

বন্যায় বিপর্যস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ঢেমাজি, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, ডারাং, বরপেটা, নলবাড়ি, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড়, গোয়ালপাড়া, মরিগাঁও, হোজাই, নওগাঁ, গোলাঘাট, মাজুলি, জোড়হাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া। এই জেলাগুলির মোট ১৫৫৬টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন, কবিতা লেখার দায়ে আসামে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

Advertisment

১১টি জেলায় ৬৮টি বন্যাত্রাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৬৪৩ জন।  সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ বরাপেটার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বরাপেটাই এখনও পর্যন্ত বন্যায় আসামের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। এরপরই রয়েছে ঢেমাজি, এখানে ক্ষতিগ্রস্ত ১.২ লক্ষ মানুষ।

বন্যার জন্য লামডিং-বদরপুর রেলপথে ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণব জ্যোতি শর্মা।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদ্যান লাগোয়া জাতীয় সড়কে যানের গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দফতরের সরকারি আধিকারিকদের তৎপর থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বন্যা কবলিত এলাকায় যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকে তার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন চিকিৎসকের কমতি হলে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তও করতে বলেন তিনি।