আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লক্ষ মানুষ

ঢেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, ডারাং, নলবাড়ি, চিরাং, গোলাঘাট, মাজুলি, জোরহাট, ডিব্রুগড়, নগাঁও, মরিগাঁও, কোকড়াঝাড়, বঙ্গাইগাঁও, বকসা এবং শোণিতপুরে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।

ঢেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, ডারাং, নলবাড়ি, চিরাং, গোলাঘাট, মাজুলি, জোরহাট, ডিব্রুগড়, নগাঁও, মরিগাঁও, কোকড়াঝাড়, বঙ্গাইগাঁও, বকসা এবং শোণিতপুরে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Assam Flood

সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ধন্যবাদ দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

আসামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যায় এখনও অবধি চার লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু জায়গায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

Advertisment

বৃহস্পতিবার আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) বলেছে বুধবার বন্যাজনিত কারণে গোলাঘাট, ঢেমাজি এবং কামরুম জেলায় বৃ্ষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, ডারাং, নলবাড়ি, চিরাং, গোলাঘাট, মাজুলি, জোরহাট, ডিব্রুগড়, নগাঁও, মরিগাঁও, কোকড়াঝাড়, বঙ্গাইগাঁও, বকসা এবং শোণিতপুরে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।

Advertisment

আরও পড়ুন, কবিতা লেখার দায়ে আসামে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

এএসডিএমএ-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৮৫, ২৬২ জন মানুষ বরাপেটার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বরাপেটাই এখনও পর্যন্ত বন্যায় আসামের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। এরপরই রয়েছে ঢেমাজি, এখানে ৮০,২১৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত।

৪১টি রেভিনিউ সার্কেলের ৭৪৯টি গ্রাম জলের তলায় ডুবে গিয়েছে, ১৪৮৩ জন মানুষকে ৫৩টি ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যার জন্য তৈরি করা বিশেষ প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই নিয়েছে জীবজন্তুরা, জানিয়েছে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। এএসডিএমএ-র তরফে জানানো হয়েছে, জোরহাটের নিমাতিঘাটে এবং শোণিতপুরের তেজপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া শিবসাগরে দিখো নদীর জল, গোলাঘাটে ধানসিড়ি নদীর জল, শোণিতপুরের এন টি ক্রসিংয়ে জিয়া ভরলি নদীর জল, কামরূপের এনএইচ রোডে পুটিমারির জল এবং বরপেটা রোডব্রিজে বেকি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দফতরের সরকারি আধিকারিকদের তৎপর থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বন্যা কবলিত এলাকায় যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকে তার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন চিকিৎসকের কমতি হলে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তও করতে বলেন তিনি।

Read the Story in English