বন্যা বিধ্বস্ত আসামের খবর নিতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনও পর্যন্ত এই বন্যায় ২৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
টেলিফোনে কথা বলার সময়ে সোনোয়াল প্রধানমন্ত্রীকে বন্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, রাজ্যের মোট ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩১টি জেলাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসামকে সর্বত ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।
রবিবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সাড়ে ২৬ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন, মারা গিয়েছেন ১১ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটা জেলার। এখানে ৭.৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এর পরেই মরিগাঁও, সেথানে বন্যার কবলে পড়েছেন সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। ধুবড়িতে ৩.৩৮ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১৮১ টি গ্রাম জলের তলায়। মোট ৮৭.৬০৭ হেক্টর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। রাজ্যের মোট ২৪টি জেলায় ৩২৭টি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই ত্রাণকেন্দ্রগুলিতে ১৬,৫৯৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৭০ শতাংশই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। গুয়াহাটি, দোরহাটের নিমাতিঘাট, শোণিতপুরের তেজপুর, গোয়ালপাড়া ও ধুবড়ি টাউন এবং করিমগঞ্জের বদরপুরঘাটে ব্রহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
Read the Full Story in English