আসামের বন্যাপরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্র আসামের জন্য় ২৫১.৫৫ কোটি টাকার সাহায্য বরাদ্দ করেছে।
আসামের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই অর্থ সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। রাজ্যের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ৩০টি এখন বন্যাকবলিত। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫য়।
ঢেমাজি, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, ডারাং, বাকসা, বরপেটা, নলবাড়ি, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড়, মরিগাঁও, হোজাই, গোঘাট, মাজুলি, জোরহাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া জেলার ১৫৫৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত।
আসাম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খবর অনুযায়ী বরপেটার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, সেখানে ৭.৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এর পরেই রয়েছে মরিগাঁও, সেখানে বন্যা কবলিত ৩.৫ লাখ মানুষ।
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আসামের বন ও পরিবেশ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গোলাঘাট ও নগাঁও জেলায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৯০ শতাংশ জলের তলায়।
চোরা শিকার আটকানোর জন্য তৈরি করা ১৪টি শিবির বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চোরাশিকার আটকাতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
কিছু বন্যপ্রাণী উদ্যানের ভিতরে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিলেও বহু প্রাণী ৩৭ নং জাতীয় সড়ক পেরিয়ে কার্বি আংলংয়ের উঁচু ভূমিতে চলে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোনোয়ালের সঙ্গে কথা বলার সময়ে কাজিরাঙা নিয়েও জানতে চান এবং সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কংগ্রেস কর্মীদের আবেদন করলেন রাহুল গান্ধী
এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বন্যাবিধ্বস্ত আসাম, বিহার, উত্তর প্রদেশ ও মিজোরামে ত্রাণ ও সাহায্য করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন।
টুইট করে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেছেন।