Advertisment

তাবলিগি জামাত নিয়ে বিতর্কিত চিঠি, সরানো হল আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের সদস্যকে

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য দায়িত্বশীল পদে এরকম একজন ব্যক্তিকে বরদাস্ত করতে পারে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
FT Officer Removed

চিঠিতে কে কে গুপ্তা লিখেছিলেন, "ত্রাণের অর্থ যেন দিল্লিতে তাবলিগি জামাতে জমায়েত হওয়া "জিহাদি" ও "জাহিলদের" ত্রাণের জন্য ব্যয় না করা হয়।"

বাকসা জেলার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল থেকে কে কে গুপ্তাকে সরিয়ে দিল আসাম সরকার। গুপ্তার বিতর্কিত চিঠি প্রকাশের এক মাস পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এক চিঠিতে কে কে গুপ্তা লিখেছিলেন, "ত্রাণের অর্থ যেন দিল্লিতে তাবলিগি জামাতে জমায়েত হওয়া "জিহাদি" ও "জাহিলদের" ত্রাণের জন্য ব্যয় না করা হয়।"

Advertisment

২২ মে-র এক অর্ডারে আসাম সরকারের রাজনৈতিক বিভাগের আন্ডারসেক্রেটারি এন গোস্বামী জানিয়েছেন, “জনস্বার্থে... বাকসার বিদেশি ট্রাইব্যুনালের সদস্য কমলেশ কুমার গুপ্তাকে ২৩ ০৫.২০২০ তারিখ থেকে বিদেশি ট্রাইবুনালের দায়িত্বশীল পদের প্রতি সুবিচার না করার কারণে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। “

‘তোমার বাবা কি তোমায় কাজ দিয়েছিলেন?’, পরিযায়ী শ্রমিক কাজ চাওয়ায় মন্তব্য জেডিইউ বিধায়কের

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য দায়িত্বশীল পদে এরকম একজন ব্যক্তিকে বরদাস্ত করতে পারে না। তিনি বলেন, “কেকে গুপ্তার চুক্তি নবীকরণের জন্য সরকারের কাছে এসেছিল এবং সরকার তাঁর ব্যবহারের কারণে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গত এপ্রিল মাসে এই নিয়ে খবর প্রকাশ করেছিল। ৭ এপ্রিল লেখা গুপ্তার স্বাক্ষরিত এই চিঠি রাজ্যের স্বাস্থ্য তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে পাঠান হয়। গুপ্তার বক্তব্য ছিল তিনি এই চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং আসলে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি। ওই চিঠিতে ১২ জন অন্য বিদেশি ট্রাইবুনালের নামের উল্লেখ ছিল যাঁরা পরে বিষয়টি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র ইউনিয়নের তরফ থেকে গুপ্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। বরপেটার কংগ্রেস বিধায়ক আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে চিঠি লিখে গুপ্তার অপসারণ দাবি করেন।

৩০ এপ্রিল রাজনৈতিক বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি এন ডি পাটোয়ারি, গুপ্তার চিঠিতে উল্লিখিত অন্য ট্রাইবুনাল সদস্যদের শো কজের চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে এ ধরনের কাজের জন্য় তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে।

Tablighi Jamat Assam
Advertisment