রাজ্যের পাঁচটি আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার মূল্যায়ণ করবে অসম সরকার। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। ওইসব সম্প্রদায়ের মুসলিমদের উন্নয়নের লক্ষেই বিজেরি সরকারের এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। যে পাঁচ মুসলিম আদিবাসী সম্প্রদায়ের মূল্যায়ণ হবে সেগুলো হল- গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি, সৈয়দ ও জোলহা
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন আমলাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) থেকে এক্সবার্তায় জানানো হয়েছে যে, 'জনতা ভবনে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের (গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি, সৈয়দ ও জোলহা) আর্থ-সামাজিক অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।'
"জনতা ভবনে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে, এইচসিএম হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আসামের আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের (গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি, সৈয়দ ও জোলহা) আর্থ-সামাজিক মূল্যায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন," মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) এক্স-এ পোস্ট করা হয়েছে।
ওই এক্স পোস্টে উল্লেখ, মূল্যায়নের ফলে আদিবাসী সংখ্যালঘুদের ব্যাপক সামাজিক-রাজনৈতিক ও শিক্ষাগত উন্নতির লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার।
গান্ধীজয়ন্তীর দিন বিহারে জাত শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। তারপরদিনই আদিবাসী মুসলিমদের উন্নয়নে অসম সরকারের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিহারের জাত সুমারির ফল-
বিহারের জাত শুমারি রিপোর্ট অনুসারে সে রাজ্যে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের সংখ্যা ২৭.১৩ শতাংশ, অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি ৩৬.০১ শতাংশ, সাধারণ শ্রেণি ১৫.৫২ শতাংশ।
জাত শুমারির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহারের উচ্চবর্ণের মানুষের সংখ্যা ১৫.৫২ শতাংশ, ভূমিহার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৩৩ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ, যাদব ১৪ শতাংশ, রাজপুত ৩.৪৫ শতাংশ।
বিহার রাজ্য সরকারের করা হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের জনসংখ্যা ১৩ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ৩১০ জন। বিহারের বাইরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৫৩ লক্ষ ৭২ হাজার ২২ জন।