Advertisment

হানিফ না হামিদ! বিভ্রান্তিতেই আতঙ্ক করোনা রোগীকে ঘিরে

হামিদ আলি নাম ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বদলে সাড়া দেন অন্য জন। যাঁর নাম হানিফ আলি। যিনি সেই সময়েও সংক্রমণ-মুক্ত ছিলেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যিনি রোগমুক্ত, তিনি রয়ে গেলেন। আর করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হল। কারণ, নামের সঙ্গে ধ্বনিগত সাদৃশ্য। আসামের হাসপাতালে এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটল এবার। যা বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে দেশে।

Advertisment

আসামের দারঙ জেলায় মঙ্গলদই সিভিল হাসপাতালে রাজ্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ঘোষণা করা হচ্ছিল করোনা-মুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা। ১৪জন সুস্থ ব্যক্তির নাম জোরে জোরে উচ্চারণের সময়েই ভুল হয়ে যায়। সজোরে উচ্চারণ করা হয় হামিদ আলির নাম। চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করছিলেন এই পরিযায়ী শ্রমিক।

হামিদ আলি নাম ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বদলে সাড়া দেন অন্য জন। যাঁর নাম হানিফ আলি। যিনি সেই সময়েও সংক্রমণ-মুক্ত ছিলেন না। তিনি সাড়া দিলেও আশ্চর্যজনক ভাবে চুপ থেকে যান হামিদ। হানিফকে ছেড়ে দেওয়ায় পরে সবকিছু জানাজানি হলে ফের একপ্রস্থ আতঙ্কের সঞ্চার হয়।

কীভাবে ঘটল এই বিভ্রান্তি? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর তরফে বলা হয়েছে, মাস্ক পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাম বলছিলেন। আর ঢাকা আওয়াজে হানিফ-হামিদ প্রায় একই শুনতে লাগে। এই জন্যই সমস্যা। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হাসপাতালের একজন সিনিয়র চিকিৎসক জানালেন, কর্তৃপক্ষের ভ্রান্তিতেই এমনটা ঘটে গিয়েছে।

যাইহোক, সংক্রমণ-মুক্ত না হয়েই হানিফ সকাল ৯টায় নিজের গ্রামে ফেরেন এম্বুলেন্সে। কিছুক্ষন পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। সঙ্গেসঙ্গেই হানিফকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। সংক্রমিত হানিফ পরিবারের কাছে সংস্পর্শে আসায় প্রত্যেকের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে নতুন করে।

দারঙয়ের জেলা শাসক দিলীপ বরা জানান, মঙ্গলবার সকালেই ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয় হানিফকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, "সৌভাগ্যবশত, ১৩ জুনের নমুনা পরীক্ষায় হানিফ নেগেটিভ ধরা পড়েছেন।" তবে হাসপাতালের পদ্ধতিগত ত্রুটি হওয়ায় বিভাগীয় পর্যায়ের এক তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন তিনি।

Assam COVID-19
Advertisment