Advertisment

সাংবাদিককে শেষ করে দেওয়ার হুমকি আসামের রাজনৈতিক নেতার

আসামের মানকাচারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই সাংবাদিক আজমলকে প্রথমে ২০১৯ -এর লোকসভা ভোটে বিজেপি বা কংগ্রেসের সঙ্গে এআইডিইউএফ-এর জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সাংবাদিককে হুমকি দিচ্ছেন আসামের নেতা আজমল (স্ক্রিনশট)

বিজেপি-র সঙ্গে পিছনের দরজা দিয়ে কোনও জোট করেছেন কিনা, এ প্রশ্নে খেপে উঠে সাংবাদিককে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন এক রাজনৈতিক নেতা। তিনি অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বদরউদ্দিন আজমল। আসামের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁকে এ প্রশ্ন করেছিলেন ই টিভি ভারতের এক স্ট্রিংগার সাংবাদিক।

Advertisment

আসামের দক্ষিণ সালমারা-মানকাচার জেলার মানকাচারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই সাংবাদিক আজমলকে প্রথমে ২০১৯ -এর লোকসভা ভোটে বিজেপি বা কংগ্রেসের সঙ্গে এআইডিইউএফ-এর জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আজমল বলেন, "আমরা দিল্লিতে বিরোধী জোটের সঙ্গে আছি।"

আরও পড়ুন, রাম মন্দির ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি

এরপর ওই সাংবাদিক আজমলকে প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রে কংগ্রেস বা বিজেপি যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাদের সঙ্গে জোট করাই এআইডিইউএফ-এর নীতি কি না। এরপর দৃশ্যতই রেগে উঠতে দেখা যায় আজমলকে। তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, এ প্রশ্ন করার জন্য ওই সাংবাদিককে লাখে টাকা দেওয়া হয়েছে নাকি কোটিতে।

আজমল বলেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ওই সাংবাদিককে নজরে রেখেছেন। ওই সাংবাদিক ঝামেলা পাকাতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“কত কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে?... (গালাগাল) একে সাংবাদিকতা বলে? আপনাদের মত লোকজন সাংবাদিকতার বদনাম করছে। এই লোকটা আগে থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে।“ আজমল এরপর গালাগালির বন্যা বইয়ে দেন, অন্য এক সাংবাদিকের হাত থেকে মাইক নিয়ে প্রশ্নকারী সাংবাদিককে সেই মাইক দিয়ে মারতেও উদ্যত হন।

“আমাকে জিজ্ঞাসা করছে আমি কত টাকায় বিজেপি-র কাছে বিক্রি হব? ওর বাবা বিক্রি হবে। এখান থেকে বেরিয়ে যাও, নাহলে তোমার মাথা ফাটিয়ে দেব। যাও আমার নাম মামলা কর...(গালগাল)... কোর্টে আমার লোক আছে... তুমি খতম হয়ে যাবে। এর আগেও তুমি এরকম করেছ।“

ঘটনার পরেই ওই সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। তবে আজমলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। “ওখানে লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছিল এবং আমাকে প্রায় পেড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রাণের দায়ে আমি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হই। ইতিমধ্যেই আমি এফআইআর দায়ের করেছি।“

২০১৩ সালের রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে ৭২ টি পঞ্চায়েত আসন পেয়ে এআইডিইউএফ দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে ভয়াবহ খারাপ ফল করেছে তারা। এবার তাদের মোট আসন সংখ্য়া সাকুল্যে ২৬টি।

Read the Full Story in English

journalist Assam
Advertisment