দেশবিরোধী কার্যকলাপে ইন্ধন দেওয়ায় মঙ্গলবার অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় একটি মাদ্রাসা এবং একটি সংলগ্ন ভবন স্থানীয় বাসিন্দারা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, “জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা মাদ্রাসা ও সংলগ্ন বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসাটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২ বাংলাদেশি নাগরিক মাদ্রাসার ভিতর জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আল-কায়েদা যোগের সন্দেহ
জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আলেম জালালউদ্দিন শাইখকে গ্রেফতারের পর দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাইখ দুজনকে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন। পলাতক বাংলাদেশি ভারতে আল-কায়েদার কার্যকলাপ বিস্তারে বিশেষ ভুমিকা নিয়েছেন।
জেলার আরও তিনটি মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেঙে দিয়েছে
অসমে মাদ্রাসায় জেহাদি কার্যকলাপের ঘটনার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গোয়ালপাড়া জেলার একটি মাদ্রাসা এবং একটি সংলগ্ন আবাসিক ক্যাম্পাস মঙ্গলবার জেহাদি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ । ২ বাংলাদেশি এই মুহূর্তে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অসমে এই নিয়ে এটি চতুর্থ মাদ্রাসা, যেটি জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে ভেঙে ফেলা হয়
স্থানীয়রা নিজেরাই মাদ্রাসা এবং এর আশেপাশের বাসভবনটি ভেঙে দিয়ে, জেহাদি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পুলিশ জানায়, পলাতক আমিনুল ইসলাম ওরফে উসমান ওরফে মেহেদি হাসান ও জাহাঙ্গীর আলম সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় সদস্য। দুজনেই ২০২০-২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। চলতি বছরের আগস্ট থেকে একই ধরনের ঘটনায় মরিগাঁও, বারপেটা ও বঙ্গাইগাঁও জেলার আরও তিনটি মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: <১০ কোটির বাংলো, হেভিওয়েট লিঙ্ক! ‘দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোরে’র কাহিনী চমকে ওঠার মতই>
গত মাসে তিনটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
অসম সরকার মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে পরিচালিত জিহাদি সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছে। গত আগস্টে সরকার তিনটি মাদ্রাসা জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত অসম পুলিশ ৩৭ জনকে দেশ বিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।