আবারও গণপিটুনির ঘটনার সাক্ষী হল দেশবাসী। আবারও গণপিটুনিতে হত্য়ার ঘটনা ঘটল আসামে। আবারও গবাদি পশু চোর সন্দেহে জনরোষ উথলে উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে আসামের বিশ্বনাথ জেলায়, যে ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন ব্য়ক্তি। কোনওরকমে পালিয়ে গিয়ে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন আরেকজন। আক্রান্তরা দাবি করছেন, তাঁরা শূকর কিনতে গিয়েছিলেন, যদিও তাঁদের পিক-আপ ভ্য়ান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি গরু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টে নাগাদ জনা তিরিশেক ব্য়ক্তি আক্রান্তদের গাড়ি আটকায়। এত রাতে আক্রান্তরা এলাকায় কী করছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রথমে আক্রান্তদের ক্ষিপ্ত জনতা মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে সন্দেহ করে বলে জানা গিয়েছে। শূকর কেনার কথা বলায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। এরপরই তাঁদের গরু চোর সন্দেহে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভোর ৪টে ২০ মিনিট নাগাদ প্রায় ১ ঘণ্টা পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রথমে দেবেন রাজবংশী (৩৫) নামে এক ব্য়ক্তিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর মৃত্য়ু হয়। জখম আরও তিনজন ফুলোচন সাহু, বিজয় নায়েক ও পুজান ঘাটোয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, Assam Lynching: গণপিটুনিতে জোড়া মৃত্যু! এখনও থমথমে এলাকা
আক্রান্তদের গাড়ি থেকে দুটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আক্রান্তদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের প্রথমে মুসলিম বলে ভেবেছিল ক্ষিপ্ত জনতা। এত রাতে আক্রান্তদের শূকর কিনতে যাওযার দাবি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া দুটি গরু শঙ্কর তাঁতি নামে এক বাসিন্দার বলে চিহ্নিত করেছেন পুলিশ সুপার দিগন্ত কুমার চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ওই ব্য়ক্তির গোয়াল থেকে দুটি গরু নিখোঁজ ছিল। এটা এলাকাবাসীদের জানান তিনি। এরপরই গ্রামবাসীরা ওই সময় বেরোন। তারপর আক্রান্তদের গাড়ি দেখে আটকান। আমাদের জানানো হয়েছিল যে, গরুসহ চারজনকে পাকড়াও করে মারধর করেছে গ্রামবাসীদের একাংশ। ওই ব্য়ক্তি এফআইআর করেছেন যে, তাঁর গরু চুরি করা হয়েছিল।"