আসাম এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেয়েছে গত ৩১শে অগাস্ট। তালিকায় নাম নেই প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের। তাদের নামের পাশে এখনও বিদেশী তকমা সাঁটেনি আনুষ্ঠানিকভাবে। আইনি লড়াইতে সবাই বৈধ নাগরিক হবে এমনটাও নয়। বিপুল সংখ্যার মানুষের ঠাঁই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। তা আঁচ করতে পেরেই আসামে তৈরি হচ্ছে প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প। গত আট মাস ধরে জোরকদমে কাজ চলছে।
আসামের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়ায় প্রায় ২০ হাজার একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। কমপক্ষে ১৫ ঠিকাদারের নেতৃত্বে প্রত্যেকদিন সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো কর্মী কাজ করে চলেছেন। এই ডিটেশন ক্যাম্পে তিন হাজার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারবেন। মাটিয়ার এই ক্যাম্প তৈরিতে খরচ ধার্য হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা। গত বছর ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ক্যাম্পের কাজ, যা শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের শেষে।
আরও পড়ুন: এনআরসি তালিকাছুটদের পরিচিতি নিয়ে বিভ্রান্তি আদতে রাজনৈতিক চাল
ডিটেনশন ক্যাম্পটি প্রথমে ৬ ফুট ও পরে ২০ ফুট পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। এর মধ্যেই থাকতে হবে এনআরসি তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। গত জুলাই মাসে আসাম সরকার ক্যাম্পে বাড়তি ১০টি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আবেদন করে কেন্দ্রের কাছে। তবে এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর আসেনি।
বর্তমানে, আসামে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। কিন্তু, এগুলি প্রত্যেকটিই জেলের অন্দরে। প্রত্যেকটিতেই প্রায় ১০০০ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারেন। মাটিয়া ক্যাম্পটি সরকারি গাইড লাইন মেনে তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন আসাম সরকারের এক আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরের ভবিষ্যত নির্ভর করছে পাকিস্তানের উপর’
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই গত জুলাই মাসে জানান, মাটিয়া হল মডেল ডিটেনশন ক্যাম্প। এখানে ১৫টি চারতলা বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম যেসব সুযোগ সুবিধা প্রযোজন তা থাকবে সেখানে। যেমন, খাবার জল, রান্নাঘর, শৈচালয়, বিদ্যুত পরিষেবা পাবেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। এছাড়াও থাকবে স্কুল, খেলার মাঠ সব বেশ কিছু ব্যবস্থা। থাকছে পুরুষ নারী পৃথক থাকার আয়োজনও।
১৯ লক্ষ মানুষ, যাদে নাম এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নেই, তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। তারপর আছে আদলত। সব প্রক্রিয়া শেষে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে এই ডিটেনশন ক্যাম্পে
Read the full story in English