আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়সীমা একমাস বাড়ানো হল। এনআরসির গণনার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার জন্যই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১ তারিখ এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা ছিল। রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আসামে এনআরসির কাজ সম্পূর্ণ করার ডেডলাইন ছিল ৩০ জুন। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
src="https://www.youtube.com/embed/iH2tZs4etKs" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর এনআরসি নিয়ে সরকারের তরফে প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ৩ বছরের মধ্যে এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই সময় থেকে ৬ বার এনআরসি নিয়ে সময় বদলেছে সরকার। গত বছর ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ নাগরিক পঞ্জিভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে ২ কোটি ৮৯ লক্ষের নাম গত বছরের ৩০ জুলাইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ৪০ লক্ষের নাম বাদ পড়েছিল এনআরসি তালিকা থেকে। এঁদের মধ্যে ফের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন ৩৬ লক্ষ মানুষ। এদিকে, চলতি বছরের গত মাসেই এনআরসির তালিকা থেকে আরও ১ লক্ষের বেশি নাম বাদ পড়েছে।
আরও পড়ুন: আসামের নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকায় নেই লক্ষাধিক নাম
গত বছর আসামে এনআরসির তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ার পর জোর বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন বিরোধীরা। অন্যান্য বিরোধী দলের মতো এনআরসি নিয়ে গর্জে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। লোকসভা নির্বাচনে এনআরসি নিয়ে মোদী-শাহদের বিঁধতে কম কসুর করেনি বিরোধীরা। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করার দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় কিছুতেই এনআরসি করতে দেওয়া হবে না বলে পাল্টা সরব হয়েছেন মমতা।
Read the full story in English