আসাম এনআরসি-তে নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি ও আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বর্ধিত তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। এর আগে এই দাবি ও আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ছিল ১৫ ডিসেম্বর। আসামে চূড়ান্ত খসড়া এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ মানুষ।
এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৪.৮ লক্ষ দাবি জমা পড়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে যাঁরা এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের কী ধরনের অসুবিধার সামনে পড়তে হচ্ছে। এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, ‘‘যে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছিল তাঁদের মধ্যে ১৪.৮ লক্ষ মানুষ তাঁদের দাবি লিপিবদ্ধ করেছেন।’’ এই দাবিগুলি খতিয়ে দেখার কাজ শুরুর তারিখ ও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, কোনও খাঁটি ভারতীয় এন আর সি থেকে বাদ পড়বেন না: রাজনাথ সিং
আপত্তি জানানোর ক্ষেত্রে, যে কেউই এনআরসি-তে কোনও নামের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। দাবি ও আপত্তি নিয়ে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর আদালত মেনে নিয়েছে, তা হল- প্রাথমিক আবেদনের সময়ে কোনও ব্যক্তি লিগ্যাসি পার্সন হিসেবে যে নাম দেখিয়েছিলেন, তা পরবর্তীকালে আর বদলানো যাবে না।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রতীক হাজেলা গত মাসে এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছিলেন এনআরসি নিয়ে দাবির পরিমাণ ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’। লিগ্যাসি পার্সন সম্পর্কিত বাধ্যবাধ্যকতা তো আছেই, দাবির পরিমাণ কম হওয়ার আরও একটি বড় কারণ রয়েছে। পূর্বপুরুষের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক প্রদর্শন সম্পর্কিত নথির যে তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা হল ৩১ অগাস্ট ২০১৫। এ
এখনও অবধি যত আপত্তি জমা পড়েছে, তার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য- মাত্র শ দুয়েক। সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উপমন্যু হাজারিকা বলেছেন, আপত্তির জানানোর জন্য প্রার্থীর অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে হবে। ২১ সংখ্যার এই নম্বরটি এনআরসি আবেদনের সময়ে প্রার্থীকে দেওয়া হয়ে থাকে। এর ফলে আপত্তি জানানোর গোটা পদ্ধতিটাই বেকার হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উপমন্যু হাজারিকা।