এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে এক মাসের অতিরিক্ত সময়সীমা চাইল কেন্দ্র ও আসাম সরকার। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে আবেদন করেছে দু পক্ষ। আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যার কারণে উদ্ভূত স্থানীয় পরিস্থিতির জেরে কয়েক লক্ষ নাম ভুলভাবে এনআরসি তালিকায় ঢুকে পড়তে পারে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, তালিকায় নাম ঢোকা বেরোনো নিয়ে ত্রুটি এড়াতে এর প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, "কেন্দ্র বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ইস্যু নিয়ে কঠোর হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভারত সারা বিশ্বের উদ্বাস্তু রাজধানী হতে পারে না।"
কেন্দ্র ও আসাম সরকার দু পক্ষই বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ নামের নমুনা পুনর্যাচাই করতে চায়।
আসামের এনআরসি কো অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা বলেছেন, ৩১ জুলাই অতিরিক্ত অন্তর্ভুক্তি ও চূড়ান্ত বর্জনের একটি সাপ্লিমেন্টারি লিস্ট প্রকাশ করা হবে কিন্তু একেবারে চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ করতে আরও এক মাস সময় লাগবে।
দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছেন আসাম এনআরসি কো অর্ডিনেটরের দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে দাবি ও অভিযোগ নিয়ে ৮০ লক্ষ মানুষকে পুনর্যাচাই করা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
শীর্ষ আদালত হাজেলাকে বলেছে কেন্দ্রকে একটি রিপোর্ট দিতে। আগামী ২৩ জুলাই ফের বিষয়টি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাঝরাতে আসাম এনআরসি-র প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সে তালিকায় আবেদনকারী ৩.২৯ কোটির মধ্যে বাদ পড়েছিল ১.৯ কোটি নাম।
Read the Story in English