৭ দিন পরও অসমের তেলকূপ থেকে বেরোচ্ছে প্রাকৃতিক গ্য়াস। কীভাবে গ্য়াস লিক রোখা হবে, এখন সে নিয়েই মাথাব্য়থা। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওআইএল)। উল্লেখ্য়, গত বুধবার সকালে তিনসুকিয়া জেলার বাঘজানে তেল উৎপাদনের সময় প্রাকৃতিক গ্য়াস লিক করে।
ওআইএলের ত্রিদিব হাজারিকা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে গ্য়াস লিক বন্ধ করা না গেলে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের দলকে ডাকা হতে পারে। এজন্য় সমস্ত অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ''এটা অনেকটাই জটিল বিষয়। এমন নয় যে একটা বাড়িতে আগুন লাগল, আর আমরা সহজেই আগুন নেভাতে পারব''।
এদিকে, গ্য়াস লিকের ঘটনায় ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিমি দূরে বাড়ি ১৯ বছর বয়সী ছাত্র ইমন আবেদিনের। ওই পড়ুয়া জানিয়েছেন, ''আমরা গ্য়াসের গন্ধ পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা আরও কাছে থাকেন, তাঁরা বলছেন, তাঁদের চোখ জ্বালা করছে, কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে''।
আরও পড়ুন: ইন্দো-চিন উত্তেজনা: সেনা নয়, কূটনৈতিক পদক্ষেপেই নজর
এ ঘটনার জেরে, ২৫০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। তিনটি স্কুলে তিনটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ওআইএলের সিএমডি সুশীল চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ''সবরকম বন্দোবস্ত করেছে ওআইএল''।
অন্য়দিকে, গ্য়াস লিক বন্ধ করতে না পারার জেরে শুধুমাত্র বাসিন্দারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা নয়, জীবজন্তুদের উপরও প্রভাব পড়েছে। পাশেই রয়েছে ডিব্রু-সাইখোওয়া ন্য়াশনাল পার্ক। শুক্রবার, মাগুরি-মোটাপাং জলাভূমি থেকে ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, জলাভূমি থেকে মৃত সাপ, বিভিন্ন ধরনের মাছ, পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায়, এম/এস জন এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডকে শোকজ নোটিস দিয়েছে ওআইএল। গুজরাতের ওই সংস্থার অপারেশনের সময়ই গ্য়াস লিকের ঘটনা ঘটে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন