Odisha News: পুরী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজ্যপালের ছেলেকে পিক আপের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি না পাঠানোয় রাজ ভবনের এক আধিকারিককেই লাঞ্ছনার বিরাট অভিযোগ। ওড়িশার রাজভবনের এক সিনিয়ার আধিকারিক এই মর্মে ই-মেলের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আধিকারিক, বৈকুণ্ঠ প্রধান অভিযোগ করেছেন রঘুবর দাসের ছেলে ললিত কুমার এবং অন্য পাঁচজন তাঁকে ৭ জুলাই রাতে পুরীর রাজভবন প্রাঙ্গণে থাপ্পড়, ঘুষি এবং লাথি মারেন। সেই সময় তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সফরের প্রস্তুতির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। ১০ জুলাই, তিনি রাজ্যপালের মুখ্য সচিবের কাছে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। রাজভবনের আধিকারিকরা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
প্রধান সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, “রাজভবন, পুরীর ইনচার্জ হওয়ার কারণে, আমি ৫ জুলাই থেকে সেখানে ছিলাম ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ৭ জুলাই প্রস্তুতির তদারকি করতে। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, ৭ জুলাই রাত ১১: ৪৫ মিনিট নাগাদ যখন তিনি অফিস রুমে বসে ছিলেন, তখন রাজ্যপালের পিএ এসে তাকে বলেছিলেন যে ললিত কুমার এখনই তার সঙ্গে দেখা করতে চান।
অভিযোগে তিনি আরও বলেছেন, "ললিত কুমার আমাকে দেখা মাত্রই অসংসদীয় ভাষায় কথা বলতে থাকেন। আমি যখন এই ধরনের অপমানে আপত্তি জানাই, তখন আমাকে চড় মারতে শুরু করেন। এরপর চলে ঘুষি, লাথি। পাশাপাশি প্রাণে মারারও হুমকিও দেন ললিত"।
তিনি মৌখিকভাবে রাজ্যপালের মুখ্য সচিবের কাছে ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি বর্ণনা করেছিলেন এবং ১০ জুলাই অভিযোগটি মেল করেন।
আরও পড়ুন - < By Election Result 2024 : দেশজুড়ে ১৩ বিধানসভা উপনির্বাচনে ‘ভ্যানিশ’ বিজেপি, ইন্ডিয়া জোটের ঝোড়ো ব্যাটিং! >
শুক্রবার ভুবনেশ্বরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানের স্ত্রী দাবি করেছেন, "১১ জুলাই সি বিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগটি মেইল করেছি,"।
অভিযোগে বলা হয়েছে পুরী রেলস্টেশনে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি না পাঠানোর জন্য ললিত প্রধানের উপর বিরক্ত ছিলেন। অভিযোগে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে হামলার সময় কুমার প্রধানকে তার জুতো চাটতে বলেছিলেন।