স্বস্তির মুখে রাকেশ আস্তানা

দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তাই, সিবিআইয়ের প্রাক্তন নির্দেশক রাকেশ আস্তানাকে রেহাই দিতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তাই, সিবিআইয়ের প্রাক্তন নির্দেশক রাকেশ আস্তানাকে রেহাই দিতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rakesh Asthana

সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা

দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তাই, সিবিআইয়ের প্রাক্তন নির্দেশক রাকেশ আস্তানাকে রেহাই দিতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকের কথায়, রাকেশ আস্তানাকে পুনর্বাসন দেওয়ার সুপারিশ করে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠান হয়েছে। তাদের দাবি, বেশ কয়েকজন গোয়ান্দারে নেতৃত্বে 'ঘুষ কাণ্ডের' তদন্ত করেছেন। জানা গিয়েছে ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণ আস্তানার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি। তবে, এই মামলায় আইও-এর রিপোর্টটি আইনি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

Advertisment

রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিবিআই তদন্তাধীন একটি মামলা থেকে সানা সতীশের নাম বাদ দেওয়ার বিনিময়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি, এবং সানা সতীশ বলেছিলেন, টাকা নেওয়ার পরেও মামলা থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। এ ছাড়া মইন কুরেশি দুর্নীতি কাণ্ডেও বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে থাকা রাকেশ আস্থানা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: মনমোহন সিং আমাদের অনুষ্ঠানে আসছেন, পাকিস্তানের নয়: অমরিন্দর সিং

আস্থানার অধীনে থাকা তদন্তকারী ডেপুটি এসপি দেবেন্দ্র কুমারকে সোমবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার সঙ্গেই আদালত জানিয়েছিল রাকেশ আস্থানাকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। রাকেশের ব্যাপারে স্ট্যাটাস কুয়ো বজায় রাখার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সিবিআই-এর এফআইআরে নাম রয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, 'র'এর কর্তা সামন্ত কুমার গোয়েলেরও, তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। মঈন কুরেশি দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের দায়িত্বে ছিলেন রাকেশ আস্থানা। সেই তদন্তের সময়েই এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আস্থানা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘পুজোতে শোভনদার সঙ্গে এজন্যই মন কষাকষি হয়’

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান অলোক ভার্মার সঙ্গে বিশেষ নির্দেশকের রাকেশ আস্তানার সংঘাত দেখা দেয়। রাকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন অলোক। এই বিতর্কের মাঝেই অলোক এবং রাকেশকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলোক। তাঁর যুক্তি ছিল দু'বছরের আগে সিবিআই অধিকর্তাকে পদ থেকে সরানো যায় না। তাঁর আগে সরাতে গেলে নির্দিষ্ট কমিটির দ্বারস্থ হতে হয়।

সিবিআইয়ের তদন্তে বাবু নামে এক ব্যবসায়ীর নামও উঠে আসে৷ মূল তার বয়ানের উপর ভিত্তি করেই এফআইআর দায়ের হয় রাকেশ আস্তান বিরুদ্ধে।

Read the full story in English

cbi