Advertisment

বুস্টার ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর: সমীক্ষা

Covid Booster Dose: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথ ভাবে কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করেছে। যে টিকা ভারতের গণটিকাকরণ কর্মসূচির অংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

Covid Booster Dose: বুস্টার ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড টিকা ওমিক্রন প্রতিরোধে কার্যকর। অ্যাংলো সুইডিশ বায়োফার্মা নামে এক সংস্থার প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই উল্লেখ রয়েছ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথ ভাবে কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করেছে। যে টিকা ভারতের গণটিকাকরণ কর্মসূচির অংশ। সেই টিকার সুরক্ষা এএবং প্রতিরোধ সংক্রান্ত ট্রায়াল থেকে এই তথ্য হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ করোনার আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা প্রজাতির উপর কার্যকরী। আর বাড়িয়ে দিচ্ছে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

Advertisment

এমনকি, পৃথক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনার চলতি ওমিক্রন প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলছে এই ভ্যাকসিন। উৎপাদক সংস্থার তরফে দাবি, হুয়ের মাধ্যমে বিশ্বের সবক’টি দেশে এই গবেষণা রিপোর্ট পাঠানো হবে। যাতে করোনার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ড ব্যবহারে সিলমোহর বসে।

এদিকে, পৃথিবীর গানের সুর আটকে রয়েছে করোনায়। যেন করোনা সাগরের তীরে আমরা বসে রয়েছি, একের পর এক ঢেউ দেখে চলেছি। মানব সভ্যতাকে যে ভাবে করোনা ধাক্কা দিয়েছে, তার কোনও তুলনা নেই। তবু এই এগিয়ে যাওয়া, এই লড়াই, যেখানে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সভ্যতা। কোনও ছোটবড় উঁচুনিচু-র বালাই নেই। সাম্যবাদের মহাসমারোহ এক, হয়তো বা প্রকৃতির প্রতি কৃতকর্মের ফল আমরা বুঝতে পারছি প্রতি মুহূর্তে। কত মানুষকে যে হারিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই, চোখের জলে আর এক সাগর তৈরি হয়েছে যেন। গত দু’বছর ধরে এই হাল। ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে দ্রুত, এক বছরে, এত তাড়াতাড়ি কোনও ভ্যাকসিনই তো তৈরি হয়নি আগে। কিন্তু করোনা আবার নিজের চেহারা বদলে এসে গিয়েছে। আলফা, বিটা, গামা।

তার পর ডেল্টা। ডেল্টা একেবারে মৃত্যু-কাঁপুনি ধরিয়েছে। অন্ধকারযাত্রা যেন। এক লকডাউন পেরিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে আর এক লকডাউনে। জীবিকা হারানোর কান্না, আর্তনাদ, আর্থিক সংস্থার মহাপতনের শব্দ আমাদের ভয় পাইয়েছে। এখন চলছে ওমিক্রন। তার সুনামি। লাফিয়ে লাফিয়ে ছড়াচ্ছে। কাশি, সর্দি, জ্বর, হয়েছে কি, পরীক্ষা করালেই ওমিক্রন, ব্যতিক্রম বড্ড কম। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাই গগন-ছোঁয়া। তবে, খারাপ দিকে মোড় দিচ্ছে না এই ভাইরাস, বেশির ভাগ রোগীকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না, কিন্তু ছড়ানোর বেগেই ভয়ানক ভয়ের শিহরণ! এই যখন থরহরিকম্প চলছে, তখন দু’বছর বয়সি করোনার দিকে আমরা একটু নজর দিয়ে নিতে চাইছি। মাঝে মাঝে পিছন ফিরে না তাকালে সামনেটাকে ভাল করে গলাধঃকরণ করা যায় না তো, তাই।

ভ্যাকসিনেশন

করোনার ভ্যাকসিনের আবিস্কার হয়েছে এক বছরের কম সময়ে। ইতিহাসের পথে একটু হাঁটলেই বোঝা যায়, এমন কোনও উদাহরণ আর নেই। মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় অবিস্কার বোধ হয় এইটিই। এর সাফল্য হয়তো চাকা আবিস্কারের সঙ্গে তুলনীয়। বা তার চেয়েও বেশি। ২০টি ভ্যাকসিন এখন সারা পৃথিবীতে এসে গিয়েছে। ৯৩০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। এত বড় ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ, নাহ আগে কখনও হয়নি। তবে, কোনও আবিস্কারের সুফল সবাই সমান ভাবে ভোগ করতে পারে না, পারেনি, যা দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু এখানেও তাই হচ্ছে। আমাদের চোখ টাটিয়ে দিয়েছে। ধনী দেশগুলির ৮০ শতাংশ মানুষ যখন ভ্যাকসিনের আওতায়, তখন বেশ কয়েকটি গরিব দেশের ৮০ শতাংশই মানুষই প্রতিষেধক পাননি। ওমিক্রন যখন ২০২২-এর করোনাযুগে ছক্কা-চার হাঁকাচ্ছে, যখন বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে নানা দেশে, তখন বহু মানুষকে বেসিক ভ্যাকসিনের জন্য এই হাপিত্যেশ অপেক্ষা, মানা যায় না কিছুতেই। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন

Oxford-Astrazeneca Booster Dose
Advertisment