/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/vaccine-lead.jpg)
করোনা রুখতে এখন ভ্যাকসিন ভরসা। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিশ্বে এগিয়ে ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও চলছিল। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। বেশ কয়েকজনের দেহে দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এরপরই ট্রায়াল আপাতত বন্ধ করে দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল বলেন, "এখনই এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের ট্রায়ালের সময় এমনতা হয়েই থাকে। এটা একটা ভালো বিষয় যে ভ্যাকসিন দৌড়ে না গিয়ে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করছি। যার জন্য কী কী উন্নত করা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলি ধরা পড়ছে।" তিনি আরও বলেন, "যখন এরকম কোনও পরিস্থিতি আসে তখন ট্রায়াল থামিয়ে পুনরায় পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। সেই কারণেই ট্রায়াল।"
ভায়কসিন ব্যবহার করার সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি এড়াতেই এই ট্রায়াল করা হয়। আর কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে। তবে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটল।
আরও পড়ুন, করোনা সংক্রমণের নয়া পর্যায় শুরু ভারতে
বিশ্বের ৬০টি স্থানে এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করার অনুমতি পেয়েছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। কিন্তু সুরক্ষা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় আমরা নিজেদের ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখছি। এই ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত, তা পরীক্ষা করে দেখবে। তারপরেই এর ট্রায়াল ফের শুরু হবে। কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করার সময় কোনও ভলান্টিয়ারের শরীরে তার বিরূপ প্রভাব দেখা যায় তাহলে এই পদ্ধতিই মেনে চলতে হয়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন