চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তর প্রদেশে বিষমদ কেড়ে নিয়েছিল প্রায় ১০০ টি প্রাণ। শনিবার ঘটল সেই বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি, এবার আসামের গোলাঘাট ও জোড়হাট জেলায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ওই দুুই জেলায় বিষমদ পান করে মৃৃৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৪ জনের। পুলিশের সন্দেহ, মদের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় মিথাইল অ্যালকোহল, যা অতি সহজলভ্য।
পিটিআই আরও জানাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১০ জনেরও বেশি মানুষ। রাজ্য সরকার এই ঘটনার দুটি পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৪৫ জনকে ভর্তি করা হয় জোড়হাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ৩৫ জন ছিলেন গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে, এবং চারজনকে রাখা হয় টিটাবর এলাকায়।
চলছে চিকিৎসা
প্রাথমিকভাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল নির্দেশ দেন, ঘটনার তদন্ত করবে আপার আসাম ডিভিশন কমিশনার জুলি সোনোওয়ালের অধীনে এক-সদস্যের একটি কমিটি, এবং ত্রিশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, "তদন্তের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কারণ খতিয়ে দেখা হবে।"
ইতিমধ্যে আবগারি দফতরের দুজন আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে, পাশাপাশি গঠিত হয়েছে চার-সদস্যের আরেকটি তদন্তকারী দল। আবগারি বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জীব মেধির নেতৃত্বে এই দলটি তিনদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পিটিআই-কে জানান, "মৃতের এবং হাসপাতালে ভর্তি মানুষের সংখ্যা প্রতি মূহুর্তে বাড়ছে।" ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অনুপ বর্মণ এই ঘটনায় অসুস্থদের চিকিৎসার ওপর নজর রাখবেন।
চিকিৎসায় সহায়তার জন্য ডিব্রুগড়ের আসাম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল, ও সোনিতপুরের তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারদের নিয়ে আসা হয়েছে।