Advertisment

মাঝনদীতে ডুবে গেল হাউসবোট, শিশু-বয়স্ক-সহ কমপক্ষে ২২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ রাজ্য় সরকারের। সোমবার ঘটনাস্থলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
At least 22 drown as boat capsizes in Kerala

হাউসবোট উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

কেরলে মাঝনদীতে ডুবে গেল হাউসবোট। রবিবার রাতে কেরলের মালাপ্পুরম জেলার উপকূলীয় শহর তানুরে একটি সমুদ্র সৈকতের কাছে একটি ডবল ডেকার একটি হাউসবোট হঠাৎই উল্টে যায়। হাউসবোট উল্টে শিশু সহ কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে অনেকে কোনও মতে সাঁতরে ওপরে ওঠেন। তাঁদের অভিযোগ, হাউসবোটটিতে বহু মানুষ উঠে পড়েছিলেন। অধিকাংশ যাত্রীর কাছেই ছিল না লাইফ জ্যাকেট।

Advertisment

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে রবিবার সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ। তানুরের কাছে থুভাল থেরাম অট্টুপুরম সৈকতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে ওই হাউসবোটটি চালানো হচ্ছিল। তবে সন্ধের পরে জলে ওই হাউসবোটটির নামার অনুমতি ছিল না। রবিবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের বিপুল ভিড় হয়েছিল। তারই জেরে পরিষেবা তখনও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হাউসবোটটি ডুবে যাওয়ার সময় সেটিতে ৩৫-৪০ জন যাত্রী ছিলেন।

মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সোমবার সকালে তানুরে পৌঁছবেন। হাউসবোটটিতে ছিলেন রফিক নামে এক ব্যক্তি। কোনওমতে সাঁতরে তিনি ওপরে উঠেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ''ঘটনাটি সৈকত থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে ঘটে। পুরপুঝা নদীর মোহনার কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। হাউসবোটটিতে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট ছিল না। ঘটনার সময়ে আশেপাশে কোনও নৌকা না থাকায় উদ্ধারে দেরি হয়েছে।''

আরও পড়ুন- নারীশক্তির জয়জয়কার! আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথে কুচকাওয়াজে শুধু মহিলা ব্রিগেডই

জানা গিয়েছে, নৌকাটি ডুবে গেলে উপরের ডেকের যাত্রীরা পালাতে সক্ষম হলেও নিচের ডেকের দরজা বন্ধ থাকায় ভিতরেই আটকে পড়েন যাত্রীরা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা এবং জেলেরা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পরে পুলিশ, স্বাস্থ্য, এবং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের অন্য বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়।

রাতে আলোর অভাবে এবং এলাকার সরু রাস্তার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। তবে উদ্ধারের পর পর্যটকদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাতে, ত্রিশুর থেকে এনডিআরএফের একটি দল উদ্ধার অভিযানের জন্য মালাপ্পুরমে যায়। আইইউএমএল বিধায়ক কে পি এ মাজিদ রাতেই পৌঁছোন ঘটনাস্থলে। তিনি জানান, উপকূলে প্রধানত মাছ ধরার জাহাজ রয়েছে। সম্প্রতি এখানে ট্যুরিস্ট বোট সার্ভিস চালু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই কর্তৃপক্ষ এখানে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।

accident kerala Death Boat capsizes
Advertisment