বুধবার মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। তিনটি হাসপাতালের সিনিয়র আধিকারিকরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানিয়েছেন। এরমধ্যে চূড়াচাঁদপুরে, শুক্রবার সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে তিন জন নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। মেইতেইদের এলাকা থেকে রক্ষীরা সরানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা বাধা দিয়েছিল। তখনই রক্ষীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
চূড়াচাঁদপুর জেলা হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, ৩ মে দাঙ্গা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই হাসপাতালের মর্গে ১২টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। যার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলি চালানোর পর তিনটি দেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালের অন্য একজন প্রবীণ চিকিৎসকের মতে, এই দাঙ্গার ঘটনায় আরও দু'জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। এর আগে বৃহস্পতিবার, চূরাচাঁদপুর-বিষ্ণুপুর সীমান্তে গুলি বিনিময়ের পরে চারটি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ইম্ফল পশ্চিমের আঞ্চলিক ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে আবার ২৬টি দাঙ্গায় নিহত ব্যক্তির দেহ আনা হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি পুরুষের দেহ। আর, দুটি মহিলার দেহ। এর মধ্যে একটি দেহ বিষ্ণুপুর জেলার নাম্বোলের এক পরিবারের। ইম্ফল পূর্বের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ, দু'জন দাঙ্গায় আহত রোগী আবার হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও, ১২টি মৃতদেহ বিভিন্ন জেলা থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা মর্গে নিয়ে এসেছেন। কোনও পরিবার এখনও এই সব দেহগুলোর একটারও দাবি জানায়নি।
আরও পড়ুন- ভারতের চিন্তা মিটল! পাকিস্তানে নিহত খালিস্তানপন্থী শীর্ষ জঙ্গিনেতা পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার
তবে, মণিপুর সরকার বা পুলিশ এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। শুক্রবার, মণিপুর পুলিশের ডিজি পি ডুঞ্জেল জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। চূড়াচাঁদপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর কথিত গুলিতে নিহতদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সি নিয়াংহোইচিংও আছেন। তাঁর ভাই লাম জ্যাকবের মতে, নিয়াংহোইচিং আট বছর দিল্লির জসোলা অ্যাপোলোতে কাজ করার পর ২০২১ সাল থেকে চূড়াচাঁদপুর জেলা হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নার্স হিসেবে কাজ করছিলেন।