বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে যথাবিহিত যজ্ঞের পরেই সাগরসঙ্গমে ভাসানো হল প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা এই অস্থিভস্ম সাগরে বিসর্জন দেন। দুদিন ধরে সাগর এবং কাকদ্বীপ জুড়ে এ নিয়ে প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে অস্থি পৌঁছে গিয়েছিল কাকদ্বীপে।
ছবি-ফিরোজ আহমেদ
বৃহস্পতিবার সকালেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর ছবি এবং ফুল দিয়ে সাজানো লরিতে অস্থি কলস নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বৃন্দরা রওনা দেন গঙ্গাসাগর এর উদ্দেশে। কলস যাত্রার শুরুতেই অস্থি রাখা ছিল যে গাড়িতে, তা যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে । এর ফলে নির্ধারিত সময়ের দু ঘণ্টা পরে সন্ধ্যা ছ 'টা নাগাদ অস্থি কলস পৌঁছায় কাকদ্বীপ লট ৮ নং-এ ।রাত দশটা নাগাদ গঙ্গাসাগরে পৌঁছায় অস্থি। হাজরা, রাসবিহারী, তারাতলা, বেহালা চৌরাস্তা, ঠাকুরপুকুর, পৈলান, আমতলা, সরিষাহাট, ডায়মন্ডহারবার, কুলপি, কচুবেড়িয়া, কালীবাজার হয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছায় ‘অস্থি কলস’। তা নিয়ে শুক্রবার সকালে সাগরে শুরু হয় অস্থি বিসর্জন যজ্ঞ। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সহ দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের জাতীয় কর্মসমিতির দুই সদস্য মুকুল রায় ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
ছবি-ফিরোজ আহমেদ
আরও পড়ুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর গোধরা পরবর্তী ও ১৯৯২ পূর্ববর্তী ভাষণের ভিডিও
গঙ্গাসাগরে বিসর্জন দেওয়ার অস্থি কলস ছাড়াও আরও পাঁচটি অস্থি কলস দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গঙ্গাসাগর ছাড়াও দক্ষিণেশ্বর, ত্রিবেণী, ফরাক্কা, তারাপীঠ ও কোচবিহারেও নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রয়াত নেতার চিতাভস্ম।
ছবি-ফিরোজ আহমেদ
শুক্রবারের যজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন , বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।