Former PM Atal Bihari Vajpayeee dies: দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রায় ছত্রিশ ঘন্টা লাইফ সাপোর্টে থেকে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। গত জুন মাসে তাঁকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা AIIMS এ ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বাজপেয়ী বিগত দশ বছরে নিজেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রায় পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছিলেন, এবং কার্যত গৃহবন্দী ছিলেন। তাঁকে দেখতে দফায় দফায় AIIMS এ যান বহু রাজনৈতিক নেতা, যাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যু ঘোষণা করে AIIMS-এর বিবৃতি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দিল্লির AIIMS-এ গত নয় সপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার শারীরিক অবস্থা গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে সঙ্কটজনক ছিল। “ওঁর অবস্থা আপাতত সঙ্কটজনক, এবং ওঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে,” বুধবার গভীর রাতে জানান হাসপাতালের মিডিয়া ও প্রোটোকল বিভাগের সভাপতি ডাঃ আরতি ভিজ। রাতেই দেখা হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে চতুর্থবার অটল বিহারীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চূড়ান্ত তৎপরতা ছিল AIIMS-এর সামনে। হাসপাতালের পাশাপাশি পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ে ছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর বাসভবন। নেতিবাচক ঈঙ্গিতই মিলেছিল সেখান থেকেও।
বর্তমানে AIIMS-এর ডাইরেক্টর এবং পালমোনোলজিস্ট ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়ার চিকিৎসাধীন ছিলেন বাজপেয়ী। ডাঃ গুলেরিয়া তিন দশকের ওপর বাজপেয়ীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে তাঁর পরিচর্যা করেছেন। ডাঃ গুলেরিয়া ছাড়াও নেফ্রোলজি, গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলোজি, পালমনোলোজি, এবং কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের একটি দল সর্বক্ষণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নজরে নজরে রেখেছিল।
আজ সকাল থেকে দেশের অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শেষ দেখা দেখতে দিল্লি আসেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ও মন্ত্রী নন্দকিশোর যাদব। তার আগে AIIMS-এ পৌঁছন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সমস্ত কাজ বাতিল করে দিল্লি রওনা দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রাজধানীতে আসেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। দেখা করতে আসার কথা ছিল মহারাষ্টের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও।
মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা হওয়ার একঘন্টা আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে দলের আগামী দু দিনের জাতীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখা হচ্ছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ১৮ ও ১৯ অগাস্ট দলের সমস্ত কাজ মুলতুবী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। পরে ঠিক করা হবে এই কর্মসূচির দিনক্ষণ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এইমসে পৌঁছলেন কৈলাশ সত্যার্থী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিলেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। বললেন, ''আমি সমস্ত কাজ বাতিল করেই অটল বিহারী বাজপেয়ীকে দেখতে যাচ্ছি। বিশাল মানের মানুষ তিনি। দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন তিনি। তাঁর কাজের ধরণ আলাদা ছিল''।
বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।