Advertisment

আতিক-আশরাফ খুনে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার, 'স্ট্যাটাস রিপোর্ট' তলব

উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Atiq Ahmed, supreme court, Uttar Pradesh

রাজনীতিবিদ- মাফিয়া আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে পুলিশ হেফাজতে হত্যার তদন্তের দাবিতে সিপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে, বিচারপতি এস. রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হবে। এই বিষয়ে, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই যোগী সরকারকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে এবং আদালত গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিষয়ে ইউপি সরকারের কাছে একটি 'স্ট্যাটাস রিপোর্ট' চেয়ে পাঠিয়েছে।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় ব্যাখ্যা করতে হবে আতিক আশরাফকে কোন পরিস্থিতিতে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, বিকাশ দুবে এনকাউন্টারের তদন্তে গঠিত বিচারপতি বিএস চৌহানের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়েও তথ্য দিতে হবে যোগী সরকারকে।

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে, আতিক আহমেদ হত্যার সঙ্গে সঙ্গে, এটিও দাবি করা হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে ১৮৩ টি এনকাউন্টারের তদন্ত অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির করা উচিত। বিচারক এব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। এখন তিন সপ্তাহ পর এই বিষয়ে শুনানি হবে।

আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ হত্যার তদন্তের আবেদনের ভিত্তিতে তিন সপ্তাহ পর শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। পুলিশের উপস্থিতিতে আতিক-আশরাফ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি পিটিশনে পুলিশের উপস্থিতিতে আতিক ও তার ভাই আশরাফ হত্যার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

আতিক হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রশ্ন করে জানতে চায়, আতিক ও তার ভাই আশরাফ যে গাড়িতে ছিলেন সেটি সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না কেন? এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিশন নিয়োগ করেছে।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে হাজিরা দেন মুকুল রোহাতগি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ঘটনাটি আমরা টিভিতে দেখেছি। কেন দুজনকে সরাসরি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ শুনানি করবে।

বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ঝাঁসিতে আতিকের ছেলে আসাদের পুলিশ এনকাউন্টারের বিষয়ে ইউপি সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। ১৩ই এপ্রিল ইউপি পুলিশের একটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটি) দলের এনকাউন্টারে আসাদ নিহত হন। দুই দিন পর আতিক আহমেদ ও আশরাফকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিন আততায়ী গুলি করে হত্যা করে।

ঘটনাটি ঘটে যখন তাকে পুলিশ সুরক্ষায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়াগরাজের একটি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শীর্ষ আদালতের আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি এই আবেদনটি দায়ের করেছেন। পিটিশনে ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে ১৮৩টি এনকাউন্টারের তদন্তের দাবি করা হয়েছে। এবিষয়ে তিন সপ্তাহ পর শুনানি হবে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অমিতাভ ঠাকুরও সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি পিটিশন দায়ের করেছিলেন যাতে আতিক আহমেদ এবং তার ভাইকে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে বক্তব্য রাখেন মুকুল রোহাতগি। রোহাতগি বলেছেন যে আমরা তদন্তের জন্য দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির একটি কমিশন গঠন করেছি। উত্তরপ্রদেশ সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করেছে। পুলিশ হেফাজতে আতিক ও আশরাফ হত্যার তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পিআইএলে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন যাতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে ১৮৩টি এনকাউন্টারের তদন্তের দাবি জানানো হয়।

atiq ahmed
Advertisment