দু’দিন আগে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া বছর ২৪-এর নাদিমকে নিজেদের হেফাজতে নিল উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি-টেরোরিস্ট স্কোয়াড। রবিবারই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করেছে অ্যান্টি-টেরোরিস্ট স্কোয়াড। জেরায় মিলেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) জঙ্গি পুলিশকে জানায় একাধিক জায়গায় হামলা ছাড়াও বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে হত্যার ছকও কষে সে।
শুক্রবার, সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ নবিকে। পুলিশের দাবি ধৃতের সঙ্গে জয়শ-ই-মোহাম্মদ ছাড়াও বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠীর নিয়মিত যোগাযোগও ছিল। স্বাধীনতা দিবসের আগেই একাধিক সরকারি ভবন, পুলিশ চত্বরে হামলারও পরিকল্পনা ছিল তার। জেরায় নাদিম স্বীকার করেছে নূপুর শর্মাকে খতম করার পরিকল্পনাও ছিল তার। ওপর মহল থেকে তাকে সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশও দেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাদিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ফতেপুর থেকে বছর ১৯-এর হাবিবুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কানপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, " জিজ্ঞাসাবাদের সময়, হাবিবুল স্বীকার করেছেন যে তিনি নাদিমকে চেনেন এবং তারা দুজনেই জেএম নেটওয়ার্কের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত”। হাবিবুলের কাছ থেকে একটি মোবাইল, বেশ কয়েকটি সিমকার্ড। একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: < কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতি ভারতের, সম্পর্ক উন্নতির আশা আফগানিস্তানের >
আদতে বিহারের বাসিন্দা হাবিবুল। বেশ কিছুদিন ধরে ফতেহপুরে একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। হাবিবুলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল অনুসরণ করে পুলিশ জানতে পারে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে এবং নাদিম। হাবিবুলের বাবা সাংবাদিকদের জানান, “পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের লখনউ থেকে ফোন করলে তিনি তার ছেলেকে গ্রেফতারের ব্যপারে জানতে পারেন”। সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছে ক্লাস টেনে ফেল করায় হাবিবুলের বাবা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। সেই থেকেই কী অপরাধ জগতে ঝুঁকে পড়া, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।