Advertisment

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ, ৩ বছর কারাদণ্ড সু চি ও তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টাকে

ঘুষকাণ্ডে আগেই পাঁচ বছর কারাবাসের সাজা হয়েছিল সুচি-র। এছাড়া দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন ভঙ্গ সহ একাধিক মামলায় মোট অপসারিত স্টেট কাউন্সিলর সুচি-র ৬ বছরের জেল হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Aung San Suu Kyi convicted again

অং সাং সু চি এবং সিয়ান টার্নেল

‘রাষ্ট্রের গোপন কথা ফাঁস' করার অভিযোগে সেনা শাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চির তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে একটি আদালত। একই মেয়াদের সাজা শোনানো হয়েছে সুচি সু চি-র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয় অর্থনীতীবিদ সিয়ান টার্নেলকে। ঘুষকাণ্ডে আগেই পাঁচ বছর কারাবাসের সাজা হয়েছিল সুচি-র। এছাড়া দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন ভঙ্গ সহ একাধিক মামলায় মোট অপসারিত স্টেট কাউন্সিলর সুচি-র ৬ বছরের জেল হয়।

Advertisment

সিয়ান টার্নেল, সিডনির ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সু চি-র উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছিলেন। 2021 এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সুচি সরকারকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সেই সময় রাজধানী নেপিইতাওতে আটক করা হয় সিয়ান টার্নেলকে। তিনি বন্দী ছিলেন প্রায় ২০ মাস। দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের একটি হোটেল থেকে সামরিক দখলের পাঁচ দিন পরে তাঁকে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপরই টার্নেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা টার্নেলের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত নথির ভিত্তিতে সু চি এবং তাঁর তিন মন্ত্রিকে রাষ্ট্রের গোপন কথা ফাঁসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। একই অভিযোগে ছিল টার্নেলের বিরুদ্ধেও। যদিও তাঁদের অপরাধের সঠিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গত বছর বলেছিল যে, টার্নেল "গোপন রাষ্ট্রীয় আর্থিক তথ্য"-জানতেন এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

টার্নেল এবং সু চি-কে অগাস্টে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। টার্নেলকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়, তবে এর জন্য তিনি কী শাস্তি পেয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সালে গণতান্ত্রিক পথে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছিল সুচি। কিন্তু সেনা অভ্যত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সাালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয়। এরপর নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও তাঁর সহযোগীদের জেলে বন্দি করে একের পর এক অভিযোগে অভিযোগে মামলা করছে জুন্টা সেনা সরকার। ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিকে বৈধতা দিতেই এই সেনা সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

myanmar
Advertisment