/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/covaxin.jpg)
করোনার প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে করোনা টিকার চাহিদা। আর সেই চাহিদা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছে যে Covaxin উৎপাদন কমানো হবে।
কোভ্যাক্সিনে সবুজ সংকেত অস্ট্রেলিয়ার। এবার থেকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা টিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমোদন মিলবে। যদিও কোভ্যাক্সিনকে এখনও করোনার ভ্যাকসিন হিসেবে মান্যতা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে শীঘ্রই সেই ছাড়পত্রও মিলবে বলে আশাবাদী ভারত বায়োটেক। গত সোমবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, কোভ্যাক্সিনের উপর ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে "একটি অতিরিক্ত তথ্য" চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের ব্যাপারে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-এর বিশেষজ্ঞরা।
সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। হায়দরাবাদের ওষুধ সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন এই করোনা টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড (ভারতে যে টিকা বানাচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউট)-এর পাশাপাশি ভারতে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে WHO-এর স্বীকৃতি মেলার আগেই অজি সরকার ভারতে তৈরি এই টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল। অস্ট্রেলিয়ান সরকার সোমবার জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন-কে করোনার আরও একটি স্বীকৃত টিকা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ ও অনুমোদনকারী সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TGA)। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে TGA এই ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন করোনা এড়াতে সুরক্ষা প্রদান করে। এই ভ্যাকসিনটি নিলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। আগত ভ্রমণকারীদের আগে থেকে এই টিকা নেওয়া থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন তাঁদের থেকে করোনার সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। টিকা প্রস্তুতকারক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে টিজিএ-কে ইতিমধ্যেই সহায়ক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- দিওয়ালির মুখে করোনা-স্বস্তি, আরও কমল অ্যাক্টিভ কেস
অজি সংস্থা TGA-এর তরফে দেওয়া বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “Covaxin এবং BBIBP-CorV-এর স্বীকৃতির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আগে থেকেই স্বীকৃত করোনাভাক (চিনের সিনোভাক-এর তৈরি করোনা টিকা) এবং কোভিশিল্ড (ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা)। এবার কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতির ফলে চিন ও ভারতের অনেক নাগরিকের পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশ যেখানে এই ভ্যাকসিনগুলি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারাও সহজেই অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবেন। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরা এবং অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের নিশ্চিন্তে কাজের সুযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা মিলবে।”
Update: The @WHO independent TAG met today & asked for addnl clarifications from the manufacturer @BharatBiotech to conduct a final EUL risk-benefit assessment for global use of #Covaxin. It will reconvene for the final assessment on Wednesday, 3 November if data received soon
— Soumya Swaminathan (@doctorsoumya) October 26, 2021
আর দু'দিন পরেই কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ (TAG) ফর ইমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং (EUL) বৈঠকে বসছে। তার আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকার কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃত করোনার টিকা হিসেবে মান্যতা দিল।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন