শুক্রবারই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন হানায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১৩। এই পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ ও ভিড় এড়ানোর পরামর্শ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর অধিকর্তা বলরাম ভার্গবের।
কোভিড-সম্পর্কিত একটি ভাষণে ভার্গব জানান, ইতিমধ্যেই কেরলের ৯ এবং মণিপুরের ৮টি সহ সাত রাজ্যের ২৪ জেলায় "স্থানীয় বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা" কার্যকর করতে বলা হয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে সাপ্তাহিক পরীক্ষার ইতিবাচকতার হার ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশাপাশি ভারতেও ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট, এপ্রসঙ্গে ভার্গব বলেন, ''অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে হবে। এটাই ভিড় এড়িয়ে চলার সময়। উত্সব পালনে সচেতন থাকতে হবে। নতুন বছরের আগে উত্সবের মেজাজে মাতলে হবে না। সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় এই বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৯১ দেশে ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ২৭ হাজারের বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এদেশে ১১৩ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। শুক্রবার নতুন করে দিল্লিতে ১২ জন, মহারাষ্ট্রে ৮ জন, গুজরাত, তেলেঙ্গনা এবং কেরলে ২ জন করে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
এই মুহূর্তে দেশের ২৪ জেলা নিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আইসিএমআর অধিকর্তা ভার্গব বলেন, “আমাদের এখনও প্রায় ২৪টি জেলা রয়েছে। যে জেলাগুলিতে ৫ শতাংশেরও বেশি পজিটিভিটি রেট রয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই জেলাগুলিতে পজিটিভিটি রেট কমাতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে বিধি-নিষেধ জারি করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন- আরও ৮ আক্রান্তের হদিশ, দেশের এই রাজ্যে ওমিক্রন থাবায় কাবু বেড়ে ৪০
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৪ টি জেলায় ৯-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে করোনা পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের বেশি ছিল। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোট্টায়াম, ইদুক্কি, কোঝিকোড়, কান্নুর, এর্নাকুলাম, কোল্লাম, ওয়েনাড এবং পাঠানামথিট্টা। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মিজোরামের খাজওল, সেরচিপ, চাম্পাই, মামিত, হানথিয়াল, লুংলেই, আইজল এবং লংটলাই। তালিকায় নাম অরুণাচল প্রদেশের নামসাই এবং দিবাং উপত্যকা। সিকিমের উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলা, হিমাচলের লাহৌল ও স্পিতি, নাগাল্যান্ডের জুনহেবোটো। কলকাতা নিয়েও উদ্বেগে স্বাস্থ্যম্ত্রক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে উদ্ধৃত করে আগরওয়াল বলেছেন,''ওমিক্রন এমন হারে ছড়িয়ে পড়ছে যা আমরা আগের কোনও ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখিনি। অনেকে ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিচ্ছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে বা যাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন আক্রান্তরা।''
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন