সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও কাজ শুরু দূর। অযোধ্যায় বিকল্প মসজিদের সম্মতি দেয়নি প্রশাসন। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এক নতুন ট্রাস্টের হাতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি তুলে দেয়। আর, নির্দেশ দেয় এক বিকল্প পাঁচ একর জমিতে মসজিদ বানাতে হবে। সেই মতো ঠিক হয় অযোধ্যার ধন্যিপুরে বিকল্প মসজিদ তৈরি হবে। ওই জমি উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
Advertisment
কেন বছরের পর বছর ধরে চলা রায়ের তিন বছর পরও মসজিদ গড়ে উঠল না ধন্যিপুরে? সেই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, নির্মাণের দায়িত্ব ট্রাস্টের। কিন্তু, ট্রাস্ট ওই মসজিদ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও সম্মতিই পায়নি। কাজে অগ্রগতি বলতে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ধন্যিপুরে ২০২০ সালের জুলাইয়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) তৈরি করেছে।
মসজিদ তৈরির কী হল? এই ব্যাপারে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সচিব আতাহার হুসেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মঙ্গলবার বলেন, 'আমরা এখনও কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমোদিত নকশাটা হাতে পাইনি। ম্যাপটা কর্তৃপক্ষ এখনও অনুমোদন করেনি। ওটা না-পাওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু হবে না। জমির চরিত্র বদল ঘটানোর ব্যাপার আছে। সেটা কৃষিজমি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক জমিতে বদলাবে। তার জন্যই এখনও অনুমোদন মেলেনি।'
২০২১ সালের মে মাসে হুসেন জানিয়েছিলেন, আইআইসিএফ প্রস্তাবিত মসজিদের জন্য ম্যাপ এঁকেছে। সেই ম্যাপ অযোধ্যা ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা এখনও অনুমোদন পাইনি। অযোধ্যা ডেভলপমেন্ট অথিরিটির চেয়ারম্যান হলেন অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার। তিনি সেই ফাইল ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। যে কোনও দিন অনুমোদন এসে যেতে পারে।'
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মসজিদের সঙ্গে ওই জমিতে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নাগরিক পরিষেবার নানা ব্যবস্থা রাখবে। সেখানে হাসপাতাল তৈরি হবে। কমিউনিটি কিচেন তৈরি হবে। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল রিসার্চ সেন্টার তৈরি হবে। যাতে আর্কাইভ বা মিউজিয়ামও থাকবে। সব মিলিয়ে ১১০ কোটি টাকার খরচা। যার মধ্যে হাসপাতাল তৈরিতেই খরচ হবে ১০০ কোটি টাকা।