বিশ্বাসীদের অটুট আস্থাই প্রমাণ করে যে অযোধ্যা ভগবান রামের জন্মভূমি। অযোধ্যা বিতর্ক মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এভাবেই সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান জানাল একটি পক্ষ।
রামলালা বিরাজমনের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কে প্রসারণ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে বলেন "রাম জন্মভূমি দেবতার রূপ এবং হিন্দুদের পূজার বিষয়।"
আরও পড়ুন, কাশ্মীরের ফরসা মেয়েদের বিয়ে করার সুযোগে উত্তেজিত বিজেপি বিধায়ক
দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বেঞ্চের সামনে প্রসারণ বলেন, "এত শতাব্দী পর এ স্থান যে রামচন্দ্রের জন্মভূমি ছিল সে কথা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।" ওই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি এস এ বোবডে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস এ নাজির।
আদালতের তরফ থেকে প্রসারণকে প্রশ্ন করা হয়, "বেথেলহেমে যীশুর জন্ম নিয়ে কি প্রশ্ন উঠেছে বা পৃথিবীর কোনও আদালতে এ নিয়ে মামলা হয়েছে!"
আরও পড়ুন, এমন বন্দিদশা কাশ্মীর আগে কখনও দেখেনি
নির্মোহী আখড়ার আইনজীবী মৌখিক সওয়াল বা প্রামাণ্য নথি দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত হতে পারেননি বলে আদালত রামলালা বিরাজমনের সওয়াল শুনছিল। নির্মোহ আখড়ার আইনজীবীকে পরবর্তী শুনানির জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলা হয়ে বেঞ্চের তরফ থেকে।
আদালতের তরফ থেকে নির্মোহী আখড়াকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে বিতর্কিত এলাকায় নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করার মত কোনও রেভিনিউ নথি বা মৌখিক প্রমাণ রয়েছে কিনা। "আপনাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি আপনাদের সপক্ষে কোনও রাজস্ব দলিল থাকে তাহলে সেটা আপনাদের পক্ষে ভাল প্রমাণ হতে পারে।"
আরও পড়ুন, নিস্তব্ধ শ্রীনগরে প্রতিধ্বনি: দিল্লি কাশ্মীর চায়, কাশ্মীরিদের নয়?
নির্মোহী আখড়ার হয়ে সওয়াল করছেন প্রবীণ আইনজীবী সুশীল জৈন। বেঞ্চ তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, "রাজস্বের দলিল ছাড়া আপনাদের কাছে আর কী প্রমাণ রয়েছে যা আপনারা দেখাতে পারেন, এবং সেবায়েতের অধিকারই বা তা ছাড়া আপনারা কীভাবে ভোগ করছেন!"
এর আগে সুশীল জৈন তাঁর সওয়ালে সেবায়েতের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সপক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন কোনও মুসলমান অন্তত ১৯৩৪ সাল থেকে এখানে ঢোকার চেষ্টাই করেনি।
বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিরই দখল চেয়েছে নির্মোহী আখড়া।
Read the Full Story in English