লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যা মামলায় নয়া চাল চালল কেন্দ্রীয় সরকার। অযোধ্যায় বিতর্কিত অংশ বাদে বাকি জমি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। মোদী সরকারের এহেন পদক্ষেপ দেখে আসরে নামল কংগ্রেস। ভোটের মুখে নিজেদের ‘উদ্দেশ্য সাধন’ করতেই অযোধ্যা নিয়ে সরকারের এই সক্রিয়তা বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙভি বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকারকে জিজ্ঞেস করুন, ওরা কেন ১৬ বছর পর এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল।" তিনি আরও বলেছেন, "দু’মাস বাদে ভোট। তার আগে ১৬ বছর পর ওঁরা হঠাৎ বলছেন, দয়া করে আমাদের অনুমতি দিন।" সিঙভির কথায়, এটা পরিষ্কার যে, ভোটের মুুুুখে উদ্দেশ্য সাধন করতেই ওঁরা এমন পদক্ষেপ নিলেন।
আরও পড়ুন, “অযোধ্যায় মন্দিরের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে”
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার তৃতীয় পক্ষ নির্মোহী আখড়ার তরফে মহন্ত রাম দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "কেন জমি নিতে চাইছে সরকার, তা স্পষ্ট করে না জানালে আমরা এটা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাব। অ-বিতর্কিত অংশের মধ্যে রয়েছে নির্মোহী আখড়ার জমিও। সেই অংশ আমাদের ফেরত দেওয়া হোক। জমি অধিগ্রহণের সময় আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ নিইনি।" তিনি আরও বলেছেন, সরকার এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন মহন্ত। রাম দাস আরও বলেছেন, মন্দির তৈরির কোনও অধিকার নেই সরকারের।
উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ৬৭ একর। পুরো জমিতেই কোনও কিছু করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই জমিরই বিতর্কিত অংশ বাদে বাকি অংশ জমি মালিকদের ফেরানোর আর্জি পেশ করেছে সরকার। অর্থাৎ ৪২ একর জমি ফেরানোর আবেদন করা হয়েছে সরকারিভাবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফে বারবার বলা হয়েছে, এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কিছু করা যাবে না।
লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, শিবসেনারা। এহেন পরিস্থিতিতে ভোটের মুখে মন্দির তৈরি শুরু করতে মরিয়া গেরুয়াবাহিনী। তাই উনিশের লড়াইয়ের মুখে এই আর্জি জানিয়ে মোদী-শাহরা নয়া চাল চাললেন বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নিয়ে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ভিএইচপি, রাম জন্মভূমি ন্যাস।
Read the full story in English