রামের জন্মভূমি হিসেবে ‘রাম চবুতরা’-কে মানেন না, বুধবার এ কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। যদিও এ ব্যাপারে ফৈজাবাদ কোর্টের ১৮৮৫ সালের পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি এই বোর্ড। প্রসঙ্গত, ফৈজাবাদ কোর্টের ওই পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাম চবুতরা’কে রামের জন্মভূমি হিসেবে বিশ্বাস করেন হিন্দুরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জিলানি সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে জানান, ‘রাম চবুতরা’কে রামের জন্মভূমি হিসেবে তাঁরা মেনে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদ জেলা বিচারকের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন জিলানি। যে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে যে, হিন্দুরা রামের জন্মভূমি হিসেবে বিশ্বাস করেন ‘রাম চবুতরা’কে। অযোধ্যা শুনানি চলাকালীন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোর্ডের এই বক্তব্য স্পষ্ট করা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পর আয়কর দফতরের নজরে এবার লাভাসার ছেলে-বোন
#Ayodhya hearing: Sunni Wakf Board now says what they said about Ram Chabutra ystrday was not their acceptance that it was Ram’s birthplace but just that they hadn’t challenged the Faizabad court’s 1885 finding that Hindus had worshipped it as Ram’s birthplace @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) September 25, 2019
মঙ্গলবার শুনানিতে জিলানির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, চবুতরাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে মানতে আপনাদের আর আপত্তি রইল না তাহলে? এর প্রেক্ষিতে জিলানি বলেন, ‘‘আগে আমাদের ছিল, কিন্তু জেলা বিচারক বলেছেন, ওই জায়গাকে জন্মভূমি হিসেবে মানাটা ধর্মীয় বিশ্বাস’’।
এদিকে, আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার নিস্পত্তির চেষ্টা করতে হবে বলে সময় বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, মামলাকারীরা চাইলে নিম্ন আদালতে গোপনে মধ্যস্থাতার বিষয়টি চলতে পারে। তবে, অযোধ্যা মামলার শুনানি প্রত্যেক দিন যেমন শীর্ষ আদালতে চলছে তেমনই চলবে। শুনানির ২৬তম দিনে প্রধান বিচাপরতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন, ‘‘সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে যাতে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়’’। মামলাকারীদের কাছে তাঁর প্রস্তাব, প্রয়োজনে শনিবার বেশি সময় ধরে শুনানি করা যেতে পারে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীনে আবেদনকারীদের হাতেই রফাসূত্র বের করার দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কোনও পক্ষই সহমত না হওয়ায় ফের প্রতিদিন শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে।
Read the full story in English