Advertisment

অযোধ্যা মামলা- মসজিদ কি ইসলামি ধর্মাচরণের অখণ্ড অংশ? বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়া নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে

১৯৯৪ সালে এম ফারুকি বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, রাষ্ট্র কর্তৃক মসজিদ অধিগ্রহণ ভারতীয় সংবিধান অনুসারে অবৈধ নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফোটো- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আর্কাইভ

মসজিদ কি ঐস্লামিক জীবনযাত্রার অখণ্ড অংশ? এ নিয়ে ইসমাইল ফারুকির যে রায় ছিল তাতে বলা হয়েছিল, তেমনটা নয়। সেই রায়কেই আজ ফিরে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।

Advertisment

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত ভূখণ্ড তিন ভাগে ভাগ করতে। সে রায়ের বিরুদ্ধে বহু আবেদন জমা পড়েছে। দীর্ঘদিনের বকেয়া সেই মামলা এখন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজিরকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে।

১৯৯৪ সালে এম ফারুকি বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, মসজিদ ঐস্লামিক ধর্মবিশ্বাসগত আচরণের অখণ্ড অংশ নয় এবং তার ফলে রাষ্ট্র কর্তৃক মসজিদ অধিগ্রহণ ভারতীয় সংবিধান অনুসারে অবৈধ নয়। অযোধ্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই ইস্যু ফের সামনে উঠে এসেছে।

ব্যাভিচার রায়

শীর্ষ আদালতে স্থির হতে চলেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা (ব্যভিচার) সাংবিধানিক ভাবে বৈধ কি না।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এই ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে আবেদনে বলা হয়েছে এই ধারা পুরুষের পক্ষে বিদ্বেষমূলক। বেঞ্চ গত অগাস্টে এ সম্পর্কিত রায়দান স্থগিত রেখেছিল।

এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে। ব্যাভিচার আইনে কোনও বিবাহিতা নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর অসম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে আইনানুসারে সশাস্তি দেওয়া হয় যৌন সম্পর্কস্থাপনকারী পুরুষটিকে, নারীকে নয়। আবেদনকারীদের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা লিঙ্গ নিরপেক্ষ করা হোক।

supreme court
Advertisment