Advertisment

অযোধ্যা মামলার শুনানির লাইভ সম্প্রচারের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি আবেদন জমা পড়েছে। ওই রায়ে হাইকোর্ট ২.৭৭ একর জমি তিনটি সমান ভাগে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালা বিরাজমনের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ayodhya, Ram Janmabhoomi

বাবরি মসজিদে কেন প্রার্থনা করতেন না মুসলিমরা?

অযোধ্যা মামলার দৈনন্দিন শুনানির সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে আবেদন করেছেন আরএসএসের নেতা কে এন গোবিন্দাচার্য। সরাসরি যদি সম্প্রচার না হয়, তাহলে যেন রেকর্ড করে রেখে শুনানির সম্প্রচার করা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। অযোধ্যা মামলার শুনানি মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার কথা।
দ্রুত শুনানির জন্য বিচারপতি এস এ বোবডে এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে এই আজ বিষয়টি উত্থাপিত হয়।

Advertisment

বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়, লাইভ সম্প্রচার বা রেকর্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে কিনা তা তাঁদের জানা নেই।
তবে এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন নাকচ করিয়ে দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে এ ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃ্ত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে তারা মঙ্গলবার থেকে রাজ নৈতিক ভাবে সংবেদনশীল রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে মামলার দৈনন্দিন শুনানি শুরু করবে। এর আগে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর সব রকম প্রচেষ্টা বাতিল হয়ে গিয়েছে।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে মধ্যস্থতার জন্য তৈরি প্যানেল চার মাস পর জানিয়েছে সমঝোতার ব্যাপারে কোনও অগ্রগতিই হয়নি।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি আবেদন জমা পড়েছে। ওই রায়ে হাইকোর্ট ২.৭৭ একর জমি তিনটি সমান ভাগে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালা বিরাজমনের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলেছিল।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ওই বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়। ষোড়শ শতকে শিয়া মুসলিম মীর বকি বিতর্কিত জমিতে ওই মসজিদ বানিয়েছিলেন বলে দাবি হিন্দু পক্ষের।

কেন্দ্রীয় সরকার ২৯ জানুয়ারি অবিতর্কিত ৬৭ একর জমি আসল মালিকদের কাছে ফেরত দেযার ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের সম্মতি চায়।
আবেদনে বলা হয়, করসেবকরা .৩১৩ একর জায়গার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা যো সৌধ ধ্বংস করেছিল তা বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির অন্তর্ভুক্ত।

সরকার ১৯৯৩ সালে আইনবলে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি সহ ৬৭.৭০৩ একর জমি অধিগ্রহণ কর। অবিতর্কিত জমির ৪২ একরের মালিক রাম জন্মভূমি ন্যাস।
কেন্দ্রের আবেদনে বলা হয়েছিল, রাম মন্দির নির্মাণে আগ্রহী ট্রাস্ট আরজেএন নামক সংস্থাও অধিগৃহীত অতিরিক্ত জমি আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।

কেন্দ্রের দাবি ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর যে সৌধ করসেবকরা ধ্বংস করেছিল কেবল সেই ০.৩১৩ একর জমিই বিতর্কিত।

এক সপ্তাহ পর আরেকটি আবেদন জমা পড়ে। তাতে ১৯৯৩ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যে কেন্দ্রীয় আইন লাগু করা হয়েছিল তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদনে বলা হয়, রাজ্যের জমি কেন্দ্র অধিগ্রহণ করতে পারে না।

আবেদনে বলা হয়েছে ১৯৯৩ সালের ওই আইন সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হিন্দু ধর্মের অধিকার ও সুরক্ষাকে  লঙ্ঘন করেছে।

supreme court Ayodhya
Advertisment