রামমন্দির নিয়ে হিন্দুদের ধৈর্য ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। সোমবার এ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্র্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেছেন, শ্রীরাম সমস্ত হিন্দুদের হিন্দুদের ভিত্তি বলে এদিন মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার শুনানির দিন ছিল ২৯ অক্টোবর। এ দিন সকালেই শীর্ষ আদালত পিছিয়ে দেয় শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ তিন বিচারপতি নিয়ে গঠিত বেঞ্চ সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে। বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হবে পরবর্তী শুনানির দিন।
মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আরও বলেন, "কংগ্রেস এটাকে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ঘটনা হিসেবে দেখাতে চাইবে। হিন্দুরা ধৈর্য হারিয়ে ফেললে কী হবে, ভেবেই ভয় করছে।’’
আরও পড়ুন, অযোধ্যা মামলার শুনানি পিছোল সুপ্রিম কোর্টে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানুয়ারিতে
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ-এর বিতর্কিত জমি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার থেকে শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ২০১০-এর রায় বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মোতাবেক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লালা, এই তিন সংস্থার ২. ৭৭ একর করে জমি পাওয়ার কথা ছিল। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মোট ১৪টি আবেদন জমা পড়েছিল।
শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে নতুন বছরের প্রথম মাসে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই মুলতুবির সিদ্ধান্তে নেহাৎই অখুশি শাসক দল । উত্তর প্রদেশের বিজেপি উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেছেন, ‘‘আমি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে শুনানি মুলতুবি রাখার বিষয়টি আদৌ ভাল বার্তা দেবে না।’’
Read the full story in English