অযোধ্যা মধ্যস্থতার অবস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল সংশ্লিষ্ট কমিটি। দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুক্রবার এ বিষয়ক শুনানি। তবে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে দৈনন্দিন শুনানির আবেদন ওই বেঞ্চ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
গত ১৮ জুলাই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবডে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এই বেঞ্চ গত ৮ মার্চ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ সমস্যার বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল।
১১ জুলাই শীর্ষ আদালত প্রাক্তন বিচারপতি এফএম কলিফুল্লার নেতৃত্বাধীন মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বলে। সেই মোতাবেক গত ১৮ জুলাই একটি রিপোর্ট জমা দেন বিচারপতি কলিফুল্লা। মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশংকর ও প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।
অযোধ্যা জমি মামলায় মূল বাদী গোপাল সিং বিশারদের পুত্র রাজেন্দ্র সিং সুপ্রিম কোর্টে বেলন মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বেশি এগোয়নি, ফলে এই প্রক্রিয়া শেষ ঘোষণা করে দিয়ে আদালতে আবেদনের শুনানি শুরু হোক।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় রাম জন্মভূমি- বাবরি মসজিদের বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি নির্মোহী আখড়া,উত্তর প্রদেশের সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড এবং রামলীলা বিরাজমনের মধ্যে সমান ভাবে বণ্টন করে দেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। একযোগে সেগুলির শুনানি চলছে।