'মুসলিম কবরের উপরই কী রামমন্দির হবে?', প্রশ্ন অযোধ্যার সংখ্যালঘুদের

অযোধ্যার স্থানীয় ৯টি সংখ্যালঘু পরিবারের দাবি, ১৮৫৫ সালে ওই বাবরি মসজিদ এলাকায় ছিল মুসলিমদের কবরস্থান।

অযোধ্যার স্থানীয় ৯টি সংখ্যালঘু পরিবারের দাবি, ১৮৫৫ সালে ওই বাবরি মসজিদ এলাকায় ছিল মুসলিমদের কবরস্থান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রামমন্দিরে জন্য তৈরি ট্রাস্টের হাতে পাওয়া একটি চিঠিই ঘিরেই বিতর্ক।

অযোধ্যায় তৈরি হবে রামমন্দির। প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে মন্দির নির্মাণের জন্য রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ঘোষণা করেছেন। সেই ট্রাস্টের হাতে পাওয়া একটি চিঠিই ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অযোধ্যার স্থানীয় ৯টি সংখ্যালঘু পরিবারের দাবি, ১৮৫৫ সালে ওই বাবরি মসজিদ এলাকায় ছিল মুসলিমদের কবরস্থান। তাই কবরস্থানের উপর কী রাম মন্দির গড়ে তোলা উচিত? এই প্রশ্নই করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

Advertisment

সংখ্যালঘু মুসলমানদের দাবি, ওই এলাকায় ৪ থেকে ৫ একর জমি ছিল মুসলিম কবরস্থান। আর সেখানে যাতে রাম মন্দির তৈরি না হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে, ওই চিঠিতে। এই চিঠি তাঁরা সোজাসুজি পাঠিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায়: মণ্ডল-করমণ্ডল রাজনীতির বৃত্ত সম্পূর্ণ

স্থানীয়দের তরফের আইনজীবী এমআর শমশাদের দাবি, ১৮৫৫ সালের দাঙ্গায় ওই এলাকায় ৭৫ জন মুসলিমকে হত্যা হয়। আর এই ৪ থেকে ৫ একর জমিতে সেই মুসলিমদের অন্ত্যেষ্টীপর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। এমন কবরস্থানে মন্দির নির্মাণ ঘিরে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই আইনজীবীর দাবি, যে জায়গায় মুসলিমদের কবরস্থান- তার অধিকারও মুসলিমদেরই। ফলে রাম মন্দির এলাকার মালিকানা ঘিরেও চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

Advertisment

এদিকে, ১৯৯৪ সালের ইসমাইল ফারুকি মামলায় সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে, মসজিদ বনাম রাম মন্দির মামলায় মূল জটিলতা ১৪৮০ স্কোয়ারফিট ঘিরে। যা সুপ্রিমকোর্ট নিষ্পত্তি করেছে ২০১৯ সালে। এদিকে, বাবরি মসজিদের চারপাশে যে কবরস্থান রয়েছে, তার সপক্ষেও একাধিক যুক্তি দিয়েছেন স্থানীয়দের তরফের আইনজীবী

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Ram Temple Ayodhya