অপেক্ষার অবসান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। মুখ্য যজমানের আসনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বসিয়ে গোটা দেশকে সাক্ষী রেখে দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে রামের মূর্তি উন্মোচিত হল। কৃষ্ণপাথরে তৈরি রামলালা মূর্তি সেজেছে ফুল ও সোনা-হীরের অলঙ্কারে, কপালে তিলক। দেশ জুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় রামমন্দির উদ্বোধনের নানা ধর্মীয় আচার। সব শেষে আজ রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অনুষ্ঠানের পর মন্দির দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
রাম লালার মূর্তি তৈরির জন্য জমির পাথর খণ্ড ব্যবহার করায় খুশি, কর্ণাটকের এক দলিত কৃষক। শনিবার তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি তার সম্পত্তির একটি অংশ দান করবেন রাম মন্দির নির্মাণের জন্য। মাইসোরের গুজ্জেগৌদানাপুরা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী রামদাস এইচ বলেন, 'কর্ণাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রাম লালা মূর্তির জন্য তার সম্পত্তি থেকে একটি পাথরের খণ্ড ব্যবহার করেন, যোগীরাজের তৈরি মূর্তিটি পরে চূড়ান্ত ঘোষণা করে রাম মন্দির ট্রাস্ট। জমির পড়ে থাকা শিলা রামলালার মূর্তি তৈরির কাজে ব্যবহার হওয়ায় খুশি বৃদ্ধ"।
রামদাস বলেন, "আমার ২.১৪ একর জমি আছে এবং আমি কৃষি কাজের জন্য পাথর অপসারণ করতে চেয়েছিলাম। আমরা এটি একটি স্থানীয় ঠিকাদারকে তার বরাত দিয়েছিলাম। যোগীরাজ তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকেই পাথর কেনেন যোগীরাজ। আর এতেই বাঁধ ভাঙ্গা খুশি দলিত কৃষকের। তিনি বলেন, "আমরা ২০২২ সালে কৃষি কাজের জন্য জমি সমতল করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কাজ হয়নি, এবং পরে, পাথর অপসারণ ছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিল না।"
শ্রীনিবাস নটরাজ, স্থানীয় ঠিকাদার যিনি শিলাগুলি পরিষ্কার করার কাজটি নিয়েছিলেন, বলেছিলেন যে একটি বিশাল শিলার মধ্যে থেকে যোগীরাজ একটি অংশ বেছে নিয়েছিলেন। তারপর পাথর খণ্ড আবার ভরথ, লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন মূর্তি খোদাই করা হয়,।