Ayodhya Ram Mandir Bhoomi Pujan Updates: রামমন্দিরের ভিতপুজোতে মোদী, আর সেই লাইভ ছবি ফুটে উঠল নিউইয়র্কের আইকনিক টাইমস স্কোয়ারে। গোটা বিলবোর্ড জুড়ে তখন রাম এবং রামমন্দিরের দৃশ্য। মার্কিন মুলুকে বসেই রামমন্দিরের ভূমিপুজোর উদবোধনে মাতলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ভারতের পতাকার পাশপাশি গেরুয়া পতাকাও উড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। উদ্যোক্তাদের তরফে বলা হয়েছিল, "চরমপন্থী দলগুলি হিন্দুদের চুপ করাতে পারবে না। আসুন সবাই আজকের দিনটি ভগবান রামের নামে উদযাপন করি।"
I was so proud to see our Ram Mandir and Ramji in Times Square today. Let’s celebrate this once in a lifetime event tonight at 7:30 pm#SriRamJiAtTimesSquare pic.twitter.com/4HcAahXraO
— Jagdish Sewhani (@JagdishSewhani) August 5, 2020
বুধবারই অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদযাপন মঞ্চে তিনি বলেন, 'সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল। বহু দিনের প্রতীক্ষার অবসান হল। এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হলাম। এত দিন রামলালা মাথা গুঁজে ছিলেন। এ বার তাঁর জন্য বিশাল মন্দির তৈরি হবে।' এরপরই স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে আনেন তিনি। বলেন, 'রামমন্দির আজ মুক্ত হল। রামমন্দিরের জন্যও অনেকে বলি হয়েছেন। আজ তাঁদের প্রতীক্ষা শেষ হল।'
মোদী-ভাগবতের উপস্থিতিতেই অযোধ্যায় ভূমি পুজো হয়। রূপোর ইঁট গাঁথেন মোদী। তার আগে হনুমাগড়ি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পরে রামলালার দর্শন করেন। রামলালার সামনে ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতে দেখা যায় মোদীকে। ভূমি পুজোকে কেন্দ্র করে রামনগরীতে উৎসবের মেজাজ। মূল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত, রামমন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান নিত্যগোপাল দাস, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল অনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হলুদ রঙে সেজে ওঠে গোটা শহর। হলুদ রং শুভ হিসেবে মানা হয়। আর সে কারণেই হলুদে ছয়লাপ অযোধ্য়া। মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান হয়।
এদিকে রামমন্দিরের ভূমি পুজোর দিনে সম্প্রীতির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা টুইটে লিখেছেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান,মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখবো।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Ayodhya Ram Mandir Updates: অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো। এ সংক্রান্ত সব আপডেট জানতে পড়ুন এখানে, Follow the Updates here:
বুধবার প্রথমে হনুমানগড়ি মন্দিরে প্রার্থনা সারবেন মোদী। সেখানে ৭ মিনিটের মধ্যে প্রার্থনা সেরে রামলালার অস্থায়ী মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবেন নমো। সেখানে ফুল দিয়ে পুজো করবেন মোদী। তারপর তাঁকে চন্দন পরানো হবে ও প্রসাদ দেওয়া হবে।
রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হতে সম্ভবত ৩ বছর সময় লাগবে, এমনটাই জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। উল্লেখ্য়, আজ অযোধ্য়ায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো হয়। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে আনেন তিনি। বলেন, 'রামমন্দির আজ মুক্ত হল। রামমন্দিরের জন্যও অনেকে বলি হয়েছেন। আজ তাঁদের প্রতীক্ষা শেষ হল।'
অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদযাপন মঞ্চে তিনি বলেন, 'সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল। বহু দিনের প্রতীক্ষার অবসান হল। এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হলাম। এত দিন রামলালা মাথা গুঁজে ছিলেন। এ বার তাঁর জন্য বিশাল মন্দির তৈরি হবে।'
অপেক্ষার অবসান। মোদী-ভাগবতের উপস্থিতিতে অযোধ্যায় শুরু হল ভূমি পুজো। রামনগরীতে উৎসবের মেজাজ। উদযাপন উনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা মোদী সহ ১৭৫ জন। মূল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত, রামমন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান নিত্যগোপাল দাস, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল অনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
রামলালার প্রার্থনায় প্রধানমন্ত্রী
হনুমানগাড়ি মন্দিরে মোদী
অযোধ্যায় পৌঁছেই হনুমানগড়ি মন্দিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এখানে প্রায় ৭ থেকে ১০ মিনিট থাকার কথা রয়েছে তাঁর।
রামমন্দিরের ভূমি পুজোর দিনে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা টুইটে লিখেছেন, 'হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান,মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখবো।'
রামমন্দিরের ভূমিপুজোয় প্রথমে যাবেন না বললেও মত বদলালেন উমা ভারতী। বুধবার তিনি টুইটে জানিয়েছেন, রাম জন্মভূমি ন্যাসের শীর্ষ কার্যকর্তার নির্দেশে ভূমিপুজোয় হাজির থাকবেন তিনি।
লখনউচে পৌঁছে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে হনুমানগড়ি দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ৭ মিনিট থাকবেন তিনি। দুপুরে পৌঁছবেন অযোধ্যায়।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষে আজ বাংলার মানুষকে বাড়িতে বাড়তি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের অনুরোধ করেছে বিজেপি এ সংঘ পরিবার। রাজ্যের আজ সম্পূর্ণ লকডাউন জারি রয়েছে। তার মধ্যেই এই বঙ্গের নানা প্রান্তে পুজোর মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণীয় করতে রাখতে চাইছে গেরুয়া দল। সেই জন্য রাজ্যের নানা জায়গায় বিজেপির উদ্যোগে পুজোর আয়োজন হয়েছে। এর আগে অবশ্য, বিজেপির তরফে এদিনের লকডাউন বদলের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা খারিজ করেছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও জানিয়েছেন ভূমি পুজো উপলক্ষে রাজভবনে এদিন দীপ জ্বালানো হবে। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রামমন্দির নির্মাণের প্রথম ধাপ হিসাবে আযোধ্যায় ভূমি পুজো হবে। স্বপ্ন সত্যি হয়েছে- বিশ্বের সর্বত্র জয় ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই উপলক্ষে রাজভাবন প্রদীপের আলোয় সেজে উঠবে। এই পথ প্রশস্থ করেছে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়।’
মোদীর হাত ধরেই রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ভূমিপুজো ও নমোর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্?eকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার ৩ ঘণ্টা সে শহরে কাটাবেন মোদী।
একনজরে জেনে নিন মোদীর অযোধ্যা সফরসূচি…
* সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নয়া দিল্লি থেকে রওনা দেবেন মোদী।
* সকাল সাড়ে ১১টায় অযোধ্যায় পৌঁছোবেন মোদী।
* প্রথমে হনুমানগড়ি দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ৭ মিনিটের বেশি থাকবেন না তিনি।
*এরপর শ্রী রাম জন্মভূমিতে যাবেন মোদী। সেখানে পুজো করবেন এবং ‘ভগবান শ্রী রামলালা বিরাজমান’ দর্শন করবেন।
* তারপর পারিজাত চারাগাছ রোপণ করবেন এবং ভূমিপুজোয় যোগ দেবেন।
* এরপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করবেন মোদী এবং শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করবেন।
* দুপুর ২টো ২০ মিনিটে লখনউ ছাড়বেন মোদী।
অযোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব। ভূমি পুজোর অনুস্থল ছাড়াও সেজে উঠেছে শহরের অন্যসব জায়গাও। সাজানো হয়েচে সরযূ নদীর ঘাটও।
রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর প্রাক্কালে 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত' নিয়ে আবেগপ্রবণ লালকৃষ্ণ আডবানি। দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন, এটা ঐতিহাসিক ও আবেগপ্রবণ দিন, শুধু আমার কাছে নয়, গোটা ভারতবাসীর কাছে''। তিনি আরও বলেছেন, একটা শক্তশালী, সমৃদ্ধিপূর্ণ, ঐক্য়ের দেশ হিসেবে ভারতকে তুলে ধরবে রাম মন্দির।
একইসঙ্গে আডবানি বলেছেন, ''আমি অভিভূত যে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে ১৯৯০ সালে রাম রথ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলাম''।
অযোধ্য়ায় ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুসলিমদেরও। মহম্মদ শরিফ জানালেন, ''আমার শরীর ঠিক থাকলে, আমি যাব'', সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। ২৫ হাজারেরও বেশি দাবিদারহীন দেহের অন্ত্য়েষ্টি করেছেন তিনি।
অযোধ্য়ায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য় ১১টি রুপোর ইট পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেন মধ্য়প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ। ভূমিপুজোর প্রাক্কালে এদিন নিজের বাসভবনে হনুমান চালিশা পাঠ করেন কমল নাথ। এ প্রসঙ্গে এদিন কমল নাথ বলেছেন, ''মধ্য়প্রদেশবাসীর হয়ে অযোধ্য়ায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য় আমরা ১১টি রুপোর ইট পাঠাব''।
কাউন্ডডউন শুরু। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাত পোহালেই অযোধ্য়ায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। এই ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’কে ঘিরে অযোধ্য়ায় সাজ সাজ রব। করোনার মধ্য়েও ভূমিপুজো ঘিরে উৎসবের মেজাজ অযোধ্য়ায়। হলুদ রঙে সেজে উঠেছে সে শহর। হলুদ রং শুভ হিসেবে মানা হয়। আর সে কারণেই হলুদে ছয়লাপ অযোধ্য়া।