রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এ বিষয়ে শুনানির দিন স্থির করা হবে।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ-এর বিতর্কিত জমি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার থেকে শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ২০১০-এর রায় বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল। নতুন করে শীর্ষ আদালতে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে নতুন বছরের প্রথম মাসে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই মুলতুবির সিদ্ধান্তে নেহাৎই অখুশি শাসক বিজেপি। উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেছেন, ‘‘আমি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে শুনানি মুলতুবি রাখার বিষয়টি আদৌ ভাল বার্তা দেবে না।’’
চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের আরেকটি বেঞ্চ ১৯৯৪- এর রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৪-এর রায় অনুসারে, 'মসজিদ ইসলামের অখণ্ড অংশ নয়। চাইলে এই ধর্মাবলম্বীরা খোলা আকাশের নীচেও প্রার্থনা করতে পারেন'। এম ইসমাইল ফারুকি বনাম কেন্দ্রের এক মামলায় জনৈক আবেদনকারী ১৯৯৪ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনা দাবি করেছিলেন।
আরও পড়ুন, অযোধ্যা মামলা- মসজিদ কি ইসলামি ধর্মাচরণের অখণ্ড অংশ? বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়া নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে
আবেদনকারী এও জানিয়েছিলেন, অযোধ্যা কাণ্ডে আদালতের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত ইসমাইল ফারুকি মামলার রায় দ্বারা প্রভাবিত। ১৯৯৩ সালের অযোধ্যা আইন অনুসারে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ চত্বরে ৬৭.৭০৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল।
আবেদন খারিজ করে প্রাক্তন বিচারপতি মিশ্র এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ সংখ্যা গরিষ্ঠতার নিরিখে রায় দেন, "ইসমাইল ফারুকি মামলায় জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে সে সব প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক। মসজিদ যে ইসলামের অখণ্ড অংশ নয়, এই রায় ঘোষণার জন্য পর্যবেক্ষণসমূহ প্রকাশ্যে পড়া প্রয়োজনীয় নয়"।
Read the full story in English