অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠনের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। বুধবার সংসদে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত ট্রাস্টের নাম রাখা হয়েছে, 'শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র'।
নজিরবিহীনভাবে সংসদে জিরো আওয়ারের আগে এই ঘোষণা করেন মোদী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুশারে উত্তর প্রদেশ সরকার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দিতেও রাজি হয়েছে। রামমন্দির তৈরির জন্য দেশবাসীকের সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যার ধান্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমমি বরাদ্দ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট স্তরের মন্ত্রীর কথায়, 'শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্যই নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইন-শৃঙ্কলার দিক থেকেও জায়গাটা বেশ ভাল।'
আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায়: মণ্ডল-করমণ্ডল রাজনীতির বৃত্ত সম্পূর্ণ
এদিন লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন সবাই একই পরিবার ভুক্ত। সবার উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে খুশি করতেই আমার সরকার 'সব কা সাথ-সব কা বিকাশ' নীতি নিয়ে এগোচ্ছে।" তাঁর সংযোজন, 'অযোধ্যা রয়ের পর ভারতবাসী নজিরবিহীনভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রদর্শণ করেছেন। আমি ১৩০ কোটি দেশবাসীকে স্যালুট করি।'
আরও পড়ুন: এক নজরে অযোধ্যা রায়ের আদ্যোপান্ত
গত বছর ৯ নভেম্বরে শীর্ষ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত জমির রায় দেয়। রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তিন দিন আগে ট্রাস্ট গঠনের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কে বানাবে রাম মন্দির? অযোধ্যায় তুমুল বাক-বিতণ্ডা
গত বছর নভেম্বরে বিকতর্কিত অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মামলাকারীকে দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিেওয়া হয় সর্বেোচ্চ আদালতের তরফে। মন্দির নির্মাণের জন্য তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন