Ayodhya Ram Mandir Darshan: সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অযোধ্যার রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকেই বহু ভক্তরা ভিড় করেন রাম লালার দর্শনের জন্য। ভোররাত থেকেই বিশাল লাইন পড়ে যায় মন্দিরে ঢোকার জন্য। বালক রামের দর্শনের জন্য ভিড়ের বাঁধ ভাঙে। রাম লালার (Ram Lalla) পুরনো মূর্তি নতুন মূর্তির সামনে রাখা হয়েছে গর্ভগৃহে।
সংবাদসংস্থা এএনআই (ANI) জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ে তিলধারণের জায়গা নেই। নিরাপত্তা রক্ষীরা ভিড় সামলাতে তৎপরতা দেখান। ভোরে প্রথম আরতির দর্শন পেতেই উদ্বেল হয়ে ওঠেন ভক্তরা। এএনআই একটি ভিডিও এক্স (X) হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ভোরের প্রথম আরতিতে বহু ভক্ত ভিড় করেছেন মন্দিরে।
কে আগে মন্দিরে ঢুকবেন, তাই নিয়ে ভক্তদের একাংশের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হাতে পুজোর ডালা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বহু ভক্তকে। অনেকে হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে 'জয় শ্রীরাম' (Jai Sri Ram) ধ্বনি দিতে দিতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন।
মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে. সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রামমন্দির খোলা থাকবে। মাঝে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের দুপুর দুটোয় মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ফের সন্ধে ৭টায় বন্ধ হবে মন্দিরের দ্বার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) হাতে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। মুখ্য যজমানের আসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বসিয়ে গোটা দেশকে সাক্ষী রেখে দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে রামের মূর্তি উন্মোচিত হয়। এরপরই ১১ দিনের উপবাস ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বহু শতাব্দী অপেক্ষার পর আমাদের মাঝে এলেন রাম। আমাদের রামলালা আর তাঁবুতে থাকবেন না, এবার মন্দিরে থাকবেন। আজ অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ। এই ক্ষণ অলৌকিক, পবিত্র। নতুন ইতিহাসের সূচনা হল। রামের আশীর্বাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। ২২ জানুয়ারি শুধু একটা তারিখ নয়, একটা কালের সূচনা। একটা দৈবিক অনুভূতি হচ্ছে। অনেক কথা বলার আছে, কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী এদিনের ভাষণে বলেন, ‘যে জাতি দাসত্বের মানসিকতা ভেঙে রুখে দাঁড়ায় সে জাতি এভাবেই নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। আমরা এখন থেকে হাজার বছর পরেও আজকের এই তারিখ এবং মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা করব। এটা রামের এত বড় আশীর্বাদ যে আমরা সবাই এই মুহূর্তটিতে বেঁচে আছি, যা বাস্তবে ঘটছে’।